× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পঞ্চগড়ে সড়কে আবর্জনার ভাগাড়

বাংলারজমিন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
২৪ আগস্ট ২০১৯, শনিবার

ব্যস্ততম সড়কের পাশে গড়ে তোলা পঞ্চগড় পৌরসভার ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ের দূষণ-দুর্গন্ধের শিকার হচ্ছে হাজার হাজার সর্বস্তরের মানুষ। বছরের পর বছর ধরে বিরাজমান এ অস্বস্তিকর পরিবেশ থেকে মুক্তি চায় এসব মানুষ। সদর উপজেলার চাকলাহাট, কামাতকাজলদীঘি, কাজলদীঘি কালিয়াগঞ্জসহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ পঞ্চগড়-চাকলাহাট সংযোগ সড়ক দিয়ে জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। কমবেশি প্রায় ৫০ হাজার মানুষ প্রতিদিন এ সড়কটি ব্যবহার করে। সড়কের পাশে পূর্ব জালাশী এলাকায় পৌর কর্তৃপক্ষ গড়ে তুলেছে ভাগাড়। প্রায় এক একর আয়তনের বিশাল একটি পুকুরে বিগত কয়েক বছর ধরেই পৌর এলাকার ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জড়ো করা ময়লা আবর্জনা ট্রাকে করে ফেলা হয় সেখানে। খাবারের উচ্ছিষ্টসহ গরু, ছাগল, কুকুরসহ অন্যান্য প্রাণির মৃতদেহও ফেলা হয় এই ভাগাড়ে।
বর্তমানে ভাগাড়টি পরিপূর্ণ হয়ে উঁচু হয়ে গেছে। এখন ময়লা আবর্জনা রাস্তার ধারে ফেলা হচ্ছে। এতে বৃষ্টির পানিতে এসব ময়লা আবর্জনা সড়কের ওপর ছড়িয়ে পড়ছে। বর্জ্য শোধনের আধুনিক কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ভাগাড়ের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে আশেপাশে। ভাগাড়ের পাশেই রয়েছে সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ ও একমাত্র বিনোদন পার্ক। এ ছাড়াও রয়েছে অনেক ব্যবসা ও ছোট ছোট শিল্প প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থী ভাগাড়ের ময়লার দুর্গন্ধ সহ্য করে যাতায়াত করে। পঞ্চগড় বাস টার্মিনালের পুকুরেও ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। অথচ এ পুকুরের এক ধারে মসজিদ ও টার্মিনাল এবং অন্য ধারে জনবসতি রয়েছে। সদর উপজেলার কামাতকাজলদীঘি ইউনিয়নের দক্ষিণ তালমা এলাকার মাদ্রাসা শিক্ষক আমির হোসাইন বলেন, প্রতিদিন পঞ্চগড়-চাকলাহাট সড়ক ব্যবহার করে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ জেলা শহরে যান। পথিমধ্যে পূর্ব জালাশী এলাকায় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধে বমি আসার উপক্রম হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ওই পথ চলতে চলতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শ্বাসকষ্টসহ হাঁচি-সর্দি লেগেই আছে। তার অভিযোগ, প্রথম শ্রেণির পঞ্চগড় পৌরসভা এলাকায় এক একর জায়গা জুড়ে ময়লার স্তূপ সরিয়ে নেয়ার তো কোনো লক্ষণই নেই, উপরন্তু প্রতিদিনই পৌরসভা এলাকার সকল বর্জ্য ফেলা হচ্ছে এখানে।
পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বারবার জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পৌরসভার প্রতিষ্ঠার শুরুর দিকে জমি অধিগ্রহণ করে ময়লার ভাগাড়টি গড়ে তোলা হয়। তাই পুরোনো নিয়মেই এখনো ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। কয়েক বছর আগে আরো একটি ময়লার ভাগাড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় পৌরসভা। এজন্য প্রায় তিন একর জমিও অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
কিন্তু এখনো কাজ শুরু করা হয়নি। তবে সম্প্রতি পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করায় ওই ময়লার ভাগাড় থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে বলে জানালেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, নতুন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব ময়লার ভাগাড়ের নির্মাণ কাজের টেন্ডার হয়ে গেছে। অচিরেই কাজ শুরু হবে। টার্মিনালের পুকুর ভরাট করার জন্য অনেক চেষ্টা করেও বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর