× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মৌলভীবাজারে জোরপূর্বক মাদ্রাসার গাছ কর্তন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে
২৪ আগস্ট ২০১৯, শনিবার

তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান। ক্ষমতার এমন দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক নিজের অনুগতদের নিয়ে নিজ এলাকার একটি মাদ্রাসার বেশ কিছু গাছ কেটে নিজের হস্তগত করেন। ওই সময় এলাকার স্থানীয় মানুষের অনুরোধ ও প্রতিবাদ তোয়াক্কা করেন নি তিনি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ, বন বিভাগ কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই দিনে-দুপুরে ওই গাছগুলে কেটে নিজের আয়ত্তে নেন তিনি। মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল আহবাব চৌধুরী শাহজানের বিরুদ্ধে স্থানীয় রফিনগর মাসুক মিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার গাছ কাটার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। জানা যায় গাছ কাটার অভিযোগ এনে গেল বছরের ৯ই ডিসেম্বর মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট ৫নং আমলি আদালতে মামলা করেন মাদ্রাসার সুপার বদর উদ্দিন আহমদ তালুকদার। এই মামলার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য ও মামলা সূত্রে জানা যায়, রফিনগর মাসুক মিয়া ইবতেদায়ি মাদ্রাসা বরমচাল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে অবস্থিত।
মাদ্রাসার সুপার মাদ্রাসার উন্নয়ন ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য মাদ্রাসার চারপাশের সীমানায় আকাশি, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৮০টি গাছ লাগান। গত বছরের ৪ঠা নভেম্বর সকালে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আহবাব চৌধুরী শাহজানসহ তার ভাড়াটে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে মাদ্রাসায় লাগানো গাছগুলো কেটে দেন। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা। চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ও তার নির্দেশে সন্ত্রাসীরা গাছ কর্তন করতে আসলে মাদ্রাসা সুপার বাধা দেন। এ সময় চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে সুপারকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন। পরে মাদ্রাসার সুপার বিষয়টি স্থানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করে প্রথমে ৬ই নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেন। যার অনুলিপি তৎকালীন এমপি ও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া হয়। তাদের অবগত করার পরও কোনো বিহিত না হওয়াতে অসহায় ও বাধ্য হয়ে ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাদী আদালতের শরণাপন্ন হন। এলাকাবাসী জানান, আব্দুল আহবাব চৌধুরী প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় মানুষের অনুরোধ ও নিষেধ করা সত্ত্বেও রাস্তার কাজের অজুহাত দেখিয়ে মাদ্রাসার পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশের ৮০টি গাছ কেটে নিয়ে যান। গাছ কাটার সময় তার রুদ্রমূর্তি দেখে ও তার নিজ বলয়ের অনুগত সন্ত্রাসী বাহিনীর তাণ্ডবলীলায় প্রাণ রক্ষায় কেউ মুখ খোলেন নি। ওই সময় নানাভাবে তারা প্রতিবাদ করলেও তা ভ্রুক্ষেপও করেন নি শাহাজাহান। এ ব্যাপারে বরমচাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল আহবাব চৌধুরী শাহজাহানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়ারদৌস হাসান বরমচাল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আহবাব চৌধুরী শাহজাহানের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আসার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর