× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৯০ দিনেই সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

বাংলারজমিন

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
২৪ আগস্ট ২০১৯, শনিবার

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর পূর্ব ধনিরাম গ্রামে যাতায়াতের জন্য খুলে দেয়ার নব্বই দিনের মাথায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতু ভেঙে পড়া নিয়ে উপজেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করলেও তদন্তের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠনের চিঠিতেই সেতুটি জুলাইয়ের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। অথচ সেতুটি ধসে পড়েছে ১১ই আগস্ট। তাই এলাকাবাসী সুষ্ঠু তদন্ত নিয়ে সন্দিহান। উপজেলার পূর্ব ধনিরাম বাঘমারার আবাসনগামী রাস্তার খালের ওপর ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করে ফুলবাড়ী উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৬শ’ ৫৬ টাকা ব্যয় হয়েছে সেতুটি নির্মাণে। কুড়িগ্রামের পুরাতন স্টেশন এলাকার এটিএম দেলদার হোসেন টিটু নামের এক ঠিকাদার সেতুটি নির্মাণ করেন। টেন্ডারে বিলম্ব হওয়ায় সেতুর কাজ শুরু হয় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে।
তাড়াহুড়া করে নির্মাণ শেষ করে গত ৫ই জুন সেতুটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। গত ১১ই আগস্ট তা ধসে যায়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির সদস্যরা হলেন- উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজীব (আহ্বায়ক), উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার আবদুস সালাম (সদস্য) এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জীবন আহমেদ (সদস্য)। তবে তদন্ত কমিটি গঠনের চিঠিতেই রয়েছে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. মাছুমা আরেফিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে আরও বলা হয় ‘সরজমিন পরির্দশন পূর্বক দেখা যায়, সাম্প্রতিক ১৯শে জুলাই মাসের বন্যায় সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই চিঠিতে সেতুটি কী কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে। চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ‘উক্ত কমিটি জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি পরির্দশন-পূর্বক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সঠিক কারণ উল্লেখপূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।’ তবে প্রতিবেদন দাখিলের কোনো সময় সীমা বেঁধে দেয়া হয়নি।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজীব বলেন, ‘কমিটির সদস্যদের নিয়ে গত ২০শে আগস্ট সরেজমিন সাইড পরির্দশন করা হয়েছে। এখন ডিজাইন, ড্রয়িং নিয়ে পর্যালোচনা করে দ্রুত রিপোর্ট প্রদান করা হবে।
নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও পরিমাণে কম রড ব্যবহার করে কাজ করায় এপার্টমেন্ট ওয়ালসহ সেতুটি ভেঙে পড়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সবুজ কুমার গুপ্ত সঠিক ডিজাইন ও প্রাক্কলন অনুযায়ী সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করা এবং বন্যায় সেতুটি ধসে পড়ার দাবি করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আরেফিন জানান, ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে তারা তদন্ত করে রিপোর্ট দিলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর