× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খুলনায় এলজিইডির সাত কোটি টাকার কাজ ভাগবাটোয়ারা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৪ আগস্ট ২০১৯, শনিবার

 খুলনায় এলজিইডির প্রায় সাত কোটি টাকার কাজ আওয়ামী লীগের ঠিকাদাররা ভাগবাটোয়ারা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার দাকোপ উপজেলার কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ কাজের এ টেন্ডার নিয়ে সমঝোতা হয়েছে। ই-টেন্ডার হলেও সম্ভাব্য দরপত্র ক্রেতাদের ডেকে রোববার রাতে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে বৈঠক করা হয়। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে সকল দরপত্র ক্রেতাকে দরপত্র দাখিল করতে দেয়া হয়নি। তবে বরিশালের একজন ঠিকাদারকে ওই বৈঠকে হাজির করতে না পারায় তিনি যথারীতি দরপত্র জমা দেয়ায় এখন তাকেও চাপ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে সিন্ডিকেটের ফলে সরকারের প্রায় অর্ধকোটি টাকা ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় দাকোপের উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে পশ্চিম বানিশান্তা ও মধ্য দাকোপ প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালাবগী সুন্দরবন প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পানখালী-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের জন্য সমপ্রতি টেন্ডার আহ্বান করা হয়। টেন্ডারে পশ্চিম বানিশান্তা ও মধ্য দাকোপ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য তিন কোটি ২৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা, কালাবগী সুন্দরবন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য এক কোটি ৫৭ লাখ নয় হাজার টাকা এবং পানখালী-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য এক কোটি ৫০ লাখ ৫১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।
যার টেন্ডার আইডি নম্বর যথাক্রমে ৩১৬৪৫৭, ৩১৬৪৫৫ ও ৩১৫২৪৫। গত ৯ই জুলাই টেন্ডার আহ্বান করার পর অনলাইনের মাধ্যমে দরপত্র কিনে অন্তত ১৫/২০ জন ঠিকাদার টেন্ডার দাখিলের প্রস্তুতি নেন।
কিন্তু বিষয়টি আঁচ করতে পেরে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের এক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার বিভাগের এক সদস্য সম্ভাব্য কিছু ঠিকাদারকে ম্যানেজ করার জন্য গত ১৮ই আগস্ট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে বৈঠক করেন। তারা সেখানে দরপত্র ক্রেতাদের কিছু নগদ টাকা দিয়ে দরপত্র দাখিল করতে দেননি। এজন্য টেন্ডার দাখিলের নির্দিষ্ট দিনে ১৯শে আগস্ট তিনটি কাজের জন্য সর্বমোট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের নামে মোট আটটি দরপত্র জমা পড়ে। কিন্তু বরিশালের যে ঠিকাদারকে ম্যানেজ করা যায়নি তিনি টেন্ডার দাখিল করায় এখন ওই আওয়ামী লীগ নেতাদ্বয়ের পক্ষ থেকে তাকে ম্যানেজে তৎপর রয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে টেন্ডার কমিটির চেয়ারম্যান ও দাকোপ উপজেলা প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস বলেন, অনলাইনে দরপত্র বিক্রি করায় সিন্ডিকেটের কোন সুযোগ নেই। তবে বাইরে কোনো মিটিং হয়েছে কিনা সেটি তার জানা নেই। নির্দিষ্ট দিনে ১৯শে আগস্ট আটটি দরপত্র জমা পড়েছে বলেও তিনি জানান। যেসব প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিয়েছে সেগুলো হচ্ছে এটিসি-এফকেটিআই (জেভি), এমএ জলিল খান, এমজেই+এমএসই (জেভি), আইএ এন্ড এনই জেভি এবং মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্স। তবে এর মধ্যে শুধুমাত্র এটিসি-এফকেটিআই (জেভি) বাদে বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠান তিনটি কাজ নেয়ার জন্য কৌশলে তিনটি স্থানে থেকে দরপত্র জমা দেয়া হয়েছে বলে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়। অর্থাৎ পশ্চিম বানিশান্তা ও মধ্য দাকোপ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার কাজের জন্য তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে দরপত্র জমা পড়ে। এগুলো হচ্ছে আইএ অ্যান্ড এনই জেভি, এমজেই+এমএসই (জেভি) এবং মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্স। কালাবগী সুন্দরবন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেড় কোটি টাকার কাজের জন্য দুটি দরপত্র জমা পড়ে। এগুলো হচ্ছে-এটিসি-এফকেটিআই (জেভি) এবং এমজেই+এমএসই (জেভি)। এছাড়া পানখালী-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেড় কোটি টাকার কাজের তিনটি দরপত্র জমা পড়ে। এগুলো হচ্ছে এটিসি-এফকেটিআই (জেভি), এমএ জলিল খান এবং এমজেই+এমএসই (জেভি)। তবে এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঠিকাদাররা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।



অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর