× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রেমিক বাধনের স্বীকারোক্তি কমলাপুরে আসমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ৪ যুবক

এক্সক্লুসিভ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
২৪ আগস্ট ২০১৯, শনিবার

মাদরাসা ছাত্রী আসমাকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার প্রধান আসামি আটক মারুফ হাসান বাধনকে কমলাপুর জিআরপি থানা পুুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছে পঞ্চগড় থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় কমলাপুর জিআর পি থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলী আকবরের নিকট তাকে হস্তান্তর করা হয়। এ সয়ম পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  (হেডকোয়ার্টার) নাঈমুল হাছান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু আককাস আহমদ উপস্থিত ছিলেন। একটি ভাড়া করা মাইক্রোতে করে তাকে কমলাপুর জিআরপি থানায় নেয়া হয়। পরিবারের লোকজন বাধনকে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানা হাজতে রাখে। বাধনের চাচা ফারুক হোসেন থানা চত্বরে জানান, আমরা নিজেরাই বাধনকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা বাধনের স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘আসমাকে সে ভালোবাসত।
তাকে নিয়ে গত রোববার পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ঢাকা যায়। গভীর রাতে কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে নেমে আশপাশের কয়েকটি আবাসিক হোটেলে উঠার চেষ্টা করে। কিন্তু নিজেদের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় কোনো হোটেলেই তাদের রাখতে রাজি হয়নি। তখন রেল স্টেশনে ফিরে এসে একটি পরিত্যক্ত ট্রেনের বগিতে গিয়ে দুজনে শুয়ে পড়ে। এ সময় তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে ত্রিকোয়ার্টার প্যান্ট পরা চার যুবক। এক পর্যায়ে বাধনকে অন্য একটি বগিতে নিয়ে গিয়ে বেঁধে রাখে। এরপর ওই চার যুবক আসমাকে ধর্ষণ করে হত্যা করে। পরে তারা বাধনের বাঁধ খুলে দিয়ে বলে, পালিয়ে যা। বাধন পরে পঞ্চগড় চলে এসে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে। কমলারপুর জিআরপি থানার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাধনের বক্তব্য সঠিক হতে পারে। আবার সে পরিকল্পিতভাবে আসমাকে হত্যা করতে পারে। বাধনের স্বীকারোক্তি আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বাধনকে মাইক্রোতে তুলে ঢাকার পথে পুলিশ রওনা দেয়। এদিকে আসমা আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে জেলা শহরের শহীদ মিনারের সামনে ঘন্টাব্যাপি ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। সামাজিক সংগঠন ‘বাঁচাও পঞ্চগড়’ ওই কর্মসূচির আয়োজন করে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর