× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা /ঘাতকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

শেষের পাতা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
২৪ আগস্ট ২০১৯, শনিবার

চলন্ত সিএনজিতে ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক মেহেদী হাসান রুবেল এবং সিএনজি চালক সাগর। গতকাল দুপুরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মোকতার হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কম্পিউটার ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন হত্যা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে গত বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল কাদেরের আদালতে তোলা হয়। পরে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মেহেদী হাসান রুবেল ও সিএনজিচালক সাগর কিভাবে ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে সে বিষয়টি আদালতে বর্ণনা দেয়। পরে তাদের দুইজনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে সদর উপজেলার পশ্চিম বটতলী এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান রুবেল ও দক্ষিণ মান্দারীর জামাল উদ্দিনের ছেলে সিএনজিচালক সাগরকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সিএনজি ও আড়াই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
ডিবি পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার মান্দারী বাজারের সুপারী ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান রুবেল ও রায়পুর শহরের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিল। এর মধ্যে মেহেদী হাসান রুবেলের কাছে ৬ লাখ টাকা পাওনা হয় আলমগীর হোসেন। মঙ্গলবার বিকালে আলমগীর হোসেন ওই পাওনা টাকার জন্য মান্দারী বাজারে রুবেলের কাছে আসে।
এ সময়  আলমগীর হোসেনকে তিন লাখ টাকা দেয় রুবেল। আরো তিন লাখ টাকা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে একটি সিএনজি ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করে। এ সময় ফয়েজ নামে এক পেশাদার কিলারকে সিএনজিতে উঠিয়ে নেয় রুবেল। আলমগীর হোসেনকে সিএনজির মাঝখানে বসিয়ে ডান পাশে বসে কিলার ফয়েজ ও বাম পাশে রুবেল। পরে মীরগঞ্জ সড়কে চলন্ত সিএনজিতে ওই তিন লাখ টাকা আত্মসাৎ করার জন্য আলমগীর হোসেনের হাত-পা চেপে ধরে রুবেল ও গলা কেটে হত্যা করে ফয়েজ। পরে তার লাশ কাজিরদিঘীর পাড় এলাকায় একটি পুকুরে ফেলে দিয়ে চলে যায় তারা। ওই তিন লাখ টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা পেশাদার কিলার ফয়েজকে দেয়া হয়। বাকি আড়াই লাখ টাকা রুবেল নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের গলাকাটা লাশ পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহত আলমগীর হোসেনের ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত আলমগীর হোসেন রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের শাইছা গ্রামের মৃত বশির উল্যাহ’র ছেলে। সে রায়পুর পৌর শহরের শাহী হোটেল সংলগ্ন তানহা কম্পিউটারের মালিক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর