লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সুদের টাকার জন্য মো. ফারুক হোসেনে নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে চাচাতো ভাই মো. সোহাগের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ফারুক বর্তমানে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই মো. জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে কমলনগর থানায় একটি অভিযোগ করেন। ফারুক তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাগলা এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে এবং চররেন্স বাজারের ভুসিমালের ব্যবসায়ী। তার মাথায় ও শরীরে যথেষ্ট আঘাতের ছিহ্ন রয়েছে। অভিযুক্ত সোহাগ একই এলাকার আহসান উল্যার ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় সাত মাস আগে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাগলা এলাকার চাচা আহসান উল্লাহ থেকে দুই লাখ টাকা সুদের উপরে নেন ফারুক। ওই টাকার প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে সুদ পরিশোধ করেন তিনি। কিন্তু চলতি মাসে ফারুক চাচার সকল টাকা সুদে আসলে উঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন এবং সে এ মাসের ১০ তারিখে ৭৪ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।
বাকি টাকা এ মাসের শেষের দিকে পরিশোধ করার কথা রয়েছে। গত বুধবার বিকাল ৩টার দিকে ফারুক চরলরেন্স বাজারের তার দোকান থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে চাচাতো ভাই মো. সোহাগ বাকি টাকার জন্য ফারুকের সঙ্গে কথাকাটাকাটি করেন। খবর পেয়ে সোহাগের বাবা আহসান উল্যাহ ও তার ভাই শাহাদাত হোসেন সারু দৌড়ে এসে একপর্যায়ে ফারুককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. ফারুক জানান, তার চাচা আহসান উল্লাহ থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজা টাকার সুদ দিবেন বলে দুই লাখ টাকা নেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রতি মাসে সুদের টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু এ মাসে ফারুক চাচার সকল টাকা উঠিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেন এবং তার আরেক চাচার মাধ্যমে ৭৪ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি টাকা মাসের শেষের দিকে পরিশোধ করার কথা রয়েছে। গত বুধবার সে তার দোকান থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে তার চাচা ও দু্ই চাচাতো ভাই মিলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করে।
এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মো. সোহাগ জানান, তার জেটাতো ভাই ফারুকের কাছে তারা সয়াবিনের সাড়ে তিন লাখ টাকা পান। এ টাকার জন্য কয়েকবার সালিশও হয়েছে। কিন্তু ফারুক তাদের টাকা দিচ্ছে না। এজন্য ঘটনার দিন সামান্য হাতাহতি হয়েছে।
কমলনগর থানার এএসআই মো. হুমায়ুন কবির জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।