× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভাঙ্গুড়ায় গো-খাদ্য সংকট, বিপাকে খামারিরা

এক্সক্লুসিভ

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
২৫ আগস্ট ২০১৯, রবিবার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বর্ষায় ঘাস চাষের জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গবাদি পশু পালনকারীরা পড়েছেন মহাবিপাকে। সরজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বন্যার পানিতে ডুবে গেছে উপজেলার ৮০ ভাগ এলাকা। গবাদি পশু পালনকারীদের খড়ের গাদা ফুরিয়ে গেছে। খাদ্যাভাবে গবাদি পশু রোগাক্রান্ত হচ্ছে নিয়মিত। গো-চারণ ভূমিগুলো ডুবে আছে পানিতে। ফলে কাঁচা ঘাস, ধানের খড়ের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
সাধারণ কৃষকসহ গরুর খামারিরা তাদের পশুসম্পদ নিয়ে মহাসংকট ও দিশাহারা অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। গো-খাদ্যের সংকটের কারণে ইতিমধ্যে বন্ধ হওয়ার পথে এলাকার অনেক খামার। খৈল, ভুষি, খড় ও কাঁচা ঘাসসহ গো-খাদ্যের অন্যান্য দ্রব্যের বাজার মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধিতে তা সংগ্রহে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। অন্যদিকে, এসব খাদ্যের বিকল্প হিসেবে কচুরি পানা, বিভিন্ন গাছের লতা-পাতাসহ নানা অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করায় নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গবাদি পশু। আর এতে করে পশুর চিকিৎসায় ব্যয় বাড়ছে। এসব কারণে কৃষকরা বাধ্য হচ্ছেন তাদের গবাদি পশু বিক্রি করে দিতে। একাধিক পশু পালনকারীরা জানান, গো-খাদ্যের মূল্য বর্তমানে এতটাই চড়া যে এগুলো ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তাই বাধ্য হয়ে গরুগুলো অল্প মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। খাদ্য সংকটের কারণে গাভীও কম দুধ দিচ্ছে বলে তারা জানান। বড়াল ও গুমানী নদী পথে তারা নৌকাযোগে দূর-দূরান্ত থেকে শুকনো খড় অতি উচ্চমূল্যে সংগ্রহ করছে। ছোট এক মোটা খড় কিনতে তাদের মণ প্রতি ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা খরচ। যা একটি গরুর খাবার দু’দিনের বেশি হচ্ছে না। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও দুধের দাম সমন্বয় করে বর্তমানে লস গুনতে হচ্ছে খামারিদের।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর