× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বদলে যাচ্ছে দোয়ারপাড়া গ্রামের চিত্র

বাংলারজমিন

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
২৫ আগস্ট ২০১৯, রবিবার

 ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ এই ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। জেলা সদরের দোয়ারপাড়া গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। এক কথায় শহরের প্রায় সকল সুবিধা গ্রামে বসেই পাবেন এলাকাবাসী। জেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় সীমিত সম্পদের ব্যবহার করে দৃশ্যমান পরিবর্তন হচ্ছে দোয়ারপাড়া গ্রামে।
সংশ্লিষ্ট শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের সচিব মো. ফয়জুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের আর ১০টা সাধারণ গ্রামের মতই ছিল সদর উপজেলার দোয়ারপাড়া গ্রাম। এ গ্রামেও ছিল সুপেয় পানির অভাব। ছিল রাস্তা-ঘাটের স্বল্পতা। সন্ধ্যার পর রাস্তায় জ্বলতো না আলো।
এখন এসবের পরিবর্তন হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় বদলে দেয়া হয়েছে গ্রামের আগের চিত্র।
গ্রামবাসী বলেছেন, দোয়ারপাড়া গ্রামের মানুষ এখন শহরের অনেক সুবিধা পাচ্ছেন। রাতে রাস্তায় জ্বলে শহরের মতো আলো। ছেলেমেয়েরা পেয়েছে খেলার মাঠ। দূরের স্কুলে যাওয়ার জন্য ছাত্রীরা পেয়ে বাইসাইকেল। গড়ে তোলা হয়েছে বিনোদনকেন্দ্র ‘বেলা শেষে’। গ্রামের শ্রমজীবী মানুষ দিনশেষে একটু বিনোদন পেতে আসছেন এ বিনোদনকেন্দ্রে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা উপভোগের জন্য গ্রামে বিনামূল্যে ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্যবস্থা হচ্ছে সুপেয় পানি ও পাঠাগারের। এক কথায় দোয়ারপাড়া গ্রামের মানুষ এখন শহরের অনেক সুবিধা পাচ্ছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল ‘গ্রাম হবে শহর’। আমরা সরকারের সে অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি। গ্রামীণ জনপদে শহরের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলেই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হবে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এসডিজি বিষয়ক) মো. মোকাম্মেল হোসেন এসেছিলেন দোয়ারপাড়া গ্রামে। তিনি গ্রামের ইতিবাচক পরিবর্তন দেখে অভিভূত। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সীমিত সম্পদের ব্যবহারে গ্রামের এমন পরিবর্তন না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন গ্রামের যে পরিবর্তন করেছে তা অভাবনীয়। ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ বাস্তবায়নে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ সফল হলে চুয়াডাঙ্গার দোয়ারপাড়া গ্রাম হবে বাংলাদেশের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর