ইনজুরিতে হেডিংলি টেস্টে খেলতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ। তিনি নেই তো কি হয়েছে তার বদলি মারনাস লাবুশেন তো আছেন! টেস্টের জন্য আইসিসির নতুন নিয়ম কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে স্মিথের ‘পরিবর্তিত’ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন লাবুশেন। বদলি হয়ে ৫৯ রানের সংগ্রামী ইনিংস খেলে দলকে বাঁচান। হেডিংলি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের সক্ষমতার প্রমাণ দিলেন আবারো। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ১৭৯ রানের মধ্য ৭৪ রানই ছিল লাবুশেনের। দ্বিতীয় ইনিংসে অজিদের ২৪০ রানের মধ্যে লাবুশানের অবদান ৮০! প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড মাত্র ৬৭ রানে গুটিয়ে যাওয়ায় জয়ের জন্য তাদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৫৯ রান। মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত বিনা উইকেটে ১১ রান তুলে স্বাগতিকরা। ১১২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু করা অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় দিন শেষে সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ১৭১ রান। কাল তৃতীয় দিন ৫৩ রানে ব্যাট করতে নামেন লাবুশান।
দলীয় ২৩৭ ও ব্যক্তিগত ৮০ রানে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হন তিনি। তার ইনিংসটিতে ছিল ৮টি বাউন্ডারির মার। লর্ডস টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাথায় আঘাত পান স্মিথ। ইংল্যান্ডের হয়ে বেন স্টোকস ৩টি ও জফরা আর্চার-স্টুয়ার্ট ব্রড ২টি করে উইকেট নেন। এর আগে জশ হ্যাজলউড ও প্যাট কামিন্সের বোলিং তোপে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬৭ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। গত ৭১ বছরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যা তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। আর ১৮৯০ সালে প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবার হেডিংলিতে একশ’র নিচে গুটিয়ে গেল ক্রিকেটের জনকরা। অল্পের জন্য এ মাঠে সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ডটি গড়া হয়নি ইংল্যান্ডের। যেটি এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। ২০০০ সালে ৬১ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জিতে ও দ্বিতীয়টিতে ড্র করে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। ২০০১ সালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ জয়ের স্বপ্নে বিভোর টিম পেইন বাহিনী।