এএফসি কাপে ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ খেলতে গতকাল রাতে উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশে দেশ ছেড়েছে আবাহনী লিমিটেড। ঘরের মাঠে প্রথম লেগে ৪-৩ গোলের দুর্দান্ত জয় পায় আবাহনী। বুধবার পিয়ংইয়ংয়ে ন্যুনতম ড্র করলেই এএফসি কাপের আন্তঃআঞ্চলিক ফাইনালের টিকিট পাবে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। পিয়ংইয়ংয়ের লড়াইয়ের আগে ভিসা জটিলতায় আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা সানডে সিজুবাকে হারাতে বসেছিল আবাহনী। কিন্তু দলের সঙ্গে না গিয়ে রুট বদলে ভিন্ন পথে উত্তর কোরিয়া পৌঁছাবেন নাইজেরিয়ান এই স্ট্রাইকার। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ায় নতুন শক্তি মিসরীয় ডিফেন্ডার আলেল নাসের ঈশাকে পাওয়া যাচ্ছে রক্ষণভাগে। চোট কাটিয়ে দলে ফেরার কথা রয়েছে মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলামেরও।
গতকাল রাতে পিয়ংইয়ংয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেও মাঝে একদিন চীনে থেকে পরদিন ২৬শে আগস্ট ম্যাচ ভেন্যুতে পৌঁছাবে আবাহনী দল। সানডে দলের সঙ্গে যাচ্ছেন না।
চীন তাকে ভিসা না দেয়ায় আজ একাই ব্যাংকক হয়ে চীনের বিমানবন্দরে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। তারপর গোটা দল চীন থেকে একসঙ্গে পিয়ংইয়ং যাবে। চোটের কারণে ঘরের মাঠে দলের বাইরে ছিলেন মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম। চোট নিয়ে গত কয়েক দিন অনুশীলনও করেননি। তবে ফিরতি ম্যাচে শেষ পর্যন্ত তাকে দেখা যেতে পারে। মামুনুলকে ম্যাচ পরিকল্পনায় রেখেছেন আবাহনী কোচ মারিও লেমোস। তিনি বলেন, ‘মামুনুল আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ফিট থাকলে অবশ্যই তাকে চাই। এ কারণেই মামুনুল দলের সঙ্গে যাচ্ছে।’ এ ছাড়া আবাহনীর জন্য সুসংবাদ, বাকি সব ফুটবলার ফিট আছেন। নবাগত মিসরীয় ডিফেন্ডার আলেল নাসের ঈশার কার্ডের নিষেধাজ্ঞাও কেটেছে। পেশাদার যুগে পাঁচটি এএফসি প্রেসিডেন্ট কাপ এবং দুটি এএফসি কাপ খেলে আবাহনী কখনোই গ্রুপের বাঁধা পেরোতে পারেনি। এবার নিজেদের তৃতীয় এএফসি কাপে আবাহনী শুধু গ্রুপের বাঁধাই পার হয়নি, ভারতের চেন্নাইয়ান এফসি ও মিনার্ভা পাঞ্জাবকে পেছনে ফেলে গ্রুপসেরাও হয়। এরপর নকআউট পর্বে ইন্টার জোনাল সেমির প্রথম লেগে জয়। এখন উত্তর কোরিয়ার ক্লাবটির বিপক্ষে তাদের মাঠ থেকে ন্যুনতম ড্র নিয়ে ফেরার চ্যালেঞ্জ।