× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রণকৌশল সাজালেন সাকিবরা

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৫ আগস্ট ২০১৯, রবিবার

আগামী মাসের শুরুতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। স্পিন  শক্তিতে বলীয়ান আফগানদের কীভাবে হারানো যাবে, এ নিয়ে গতকাল বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, নতুন কোচ রাসেল ক্রেগ ডমিঙ্গো ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান ও দুই নির্বাচক হাবিবুল বাশার-মিনহাজুল আবেদীন নান্নু গোল টেবিলে বসেন। সভায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়াও বাংলাদেশ দল নিয়ে নতুন কোচের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। এ বিষয়ে আকরাম খান বলেন, ‘বিশ্বকাপের পর আমাদের কোচিং স্টাফে অনেক পরিবর্তন এসেছে। অধিনায়ক, কোচ, নির্বাচক আমরা সবাই আলাপ-আলোচনা করেছি। পরের মাসের সিরিজ নিয়ে আলোচনা করেছি। এই সিরিজে দলের শক্তি ও কন্ডিশন কেমন থাকবে, এসব নিয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে। আশা করি এটা সামনেও চলবে।
কোন কাজ কীভাবে করবো সেটি আগ থেকেই পরিষ্কার করে ফেললাম।’
৫ই সেপ্টেম্বর শুরু হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট। এরপর ১৩ই আগস্ট থেকে জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানের সঙ্গে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। দুই সিরিজকে সামনে রেখে নতুন কোচদের অধীনে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ঘাম ঝরাচ্ছেন ক্রিকেটররা। ক্যাম্প চলবে ২৮শে আগস্ট পর্যন্ত। সাকিব ক্যাম্পের শুরুতে থাকতে পারেননি দেশের বাইরে ছিলেন বলে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাত ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পা রাখেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এরপর সকালেই দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেন। ফিটনেস নিয়ে কাজ করেন। ব্যাটিং অনুশীলনেও কিছুটা সময় কাটান। এরপর যোগ দেন গুরুত্বপূর্ণ সভায়। তবে সভায় মূল বিষয় ছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের রণপরিকল্পনা কেমন হবে? বাংলাদেশ কোন ধরনের উইকেটে খেলবে? স্পিন সহায়ক উইকেটে গত কয়েক বছর ধরে সাফল্য পাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে স্পিনিং উইকেট বুমেরাং হতে পারে স্বাগতিকদের জন্য। ফলে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। বরং উইকেটে পেস সহায়ক হবে। আকরাম বললেন তেমনটাই, ‘আমরা স্বাগতিক, দেশের মাঠের সুবিধা বেশি থাকবেই। উইকেটে তেমন পরিবর্তন আসবে না। চেষ্টা করছি ট্রু উইকেট করতে, যেন ঘাস থাকে। সেখানে যেন ফাস্ট বোলাররা সুবিধা পায়।’
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের আমলে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। সর্বশেষ দেশের বাইরে সেটিই টাইগারদের শেষ টেস্ট জয়। চলতি বছর নিউজিল্যান্ডে গিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। দেশের বাইরে কীভাবে বেশি বেশি সাফল্য পাওয়া যাবে সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে  সভায়। দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ রাসেল ক্রেগ ডমিঙ্গোর কাছ থেকে অ্যাওয়েতে ভালো করার পরিকল্পনা শুনেছেন আকরাম খান। তিনি বলেন, সে কিন্তু হোমের সঙ্গে অ্যাওয়ের কথা চিন্তা করছে। কোনো ব্যাটসম্যান হোমে ভালো, বাইরে আরো ভালো হতে পারে সেটি নিয়ে ভাবছে। এটা ভালো লেগেছে। নির্বাচকদের পরিকল্পনা শুনেছে। তারাও ওকে কী কী বুঝিয়ে দেবে সেটি জানিয়েছে। আসলে দেশে খেললে কিছু বিষয়ের গুরুত্ব ওভাবে উপলব্ধি করতে পারি না। তবে বাইরে গেল বুঝতে পারি এটার গুরুত্ব অনেক বেশি। যে পরিকল্পনাটা করেছি, দেশে-বিদেশে আমাদের খেলার মান যেন একই থাকে। দেশে যেভাবে খেলি বাইরেও যেন সমান ভালো খেলতে পারি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর