নারায়ণগঞ্জে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে সোলেমান হোসেন অপু (৩৫) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। নিহত অপু দেওভোগ তাঁতীপাড়া এলাকার আজিজ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া রমজান মিয়ার ছেলে। সে শহরের মণ্ডলপাড়ায় কাশেম ডেকোরেটরে বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করত। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের পরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পারভেজ নামে এক যুবককে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে শহরের বাবুরাইল তাঁতীপাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা রমজান মিয়া বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে শনিবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলার আসামিরা হলো- দেওভোগ তাতীপাড়া এলাকার মৃত বিল্লাল হোসেনের চার ছেলে রায়হান, রানা, ফয়সাল ও ফরহাদ, একই এলাকার নাছির উদ্দিন আহমেদের ছেলে রাহাত, নাগবাড়ী এলাকার মৃত আঃ হাকিম এর ছেলে প্রসুন এবং আলী আকবরের ছেলে পারভেজ। নিহত অপুর বাবা রমজান এবং মা শাহানা আক্তার জানান, শুক্রবার বিকেলে অপুর সঙ্গে অভিযুক্ত আসামী রায়হানের পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
এসময় রায়হান অপুকে হুমকি দিয়ে চলে যায়। সন্ধ্যার দিকে রায়হানের সহযোগী প্রসুন অপুকে ফোন করে দেওভোগ নাগবাড়ী শেষ মাথা পূর্বের গলি এলাকার নূর মোহাম্মদ এর বাসার সামনে ডেকে নেয়। সেখানে যাওয়ার পর তারা অপুকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন অপুকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পারভেজ নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।