অরাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে খুলনার মৎস্যজীবী দলের নতুন আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি। গতকাল দুপুর ১২টায় খুলনা বিএনপির অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে নতুন কমিটির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন খুলনা জেলা মৎস্যজীবী দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল ইসলাম ও নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের খুলনা জেলা শাখার নতুন আহ্বায়ক কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেন।
এতে লিখিত বক্তব্যে আজিজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি ঘোষিত সব আন্দোলন বেগবান করতে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে খুলনা জেলা মৎস্যজীবী দলের সাবেক নেতাকর্মীরা। সেই কারণে তারা বিভিন্ন সময়ে হামলা মামলার শিকার হয়ে কেউ জেলে অথবা ফেরারি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমন অবস্থায় হঠাৎ করে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল খুলনা জেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিকে সবসময় স্বাগত জানানো উচিত। কিন্তু আমরা বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দের নাম দেখে এই কমিটিকে স্বাগত জানাতে পারছি না। কারণ এই কমিটির কাউকেই দলের নেতাকর্মীরা চেনেন না।
এমনকি গত কমিটির কোনো সদস্যই বর্তমান কমিটিতে স্থান পায়নি। ২৪শে আগস্ট এই কমিটি ঘোষণা করা হলেও ২৪শে জুলাই এই কমিটি কেন্দ্র অনুমোদন করেছে। যা এতদিন কেউই জানতেন না। এমনকি দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েও আমি জানি না এমন একটি কমিটি গঠন হতে যাচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, খুলনা জেলার বিভিন্ন কমিটি গঠনে একটা সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। তারা নগদ অর্থ, বাসার যাবতীয় বাজার, মাছ, মধুসহ বিভিন্ন উপঢৌকন গ্রহণ করে খুলনা জেলা মৎস্যজীবীদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে। যে কমিটির কাউকেই আমিসহ জেলা মৎস্যজীবীদলের নেতারা কেউ চেনেন না। এ সময় খুলনা জেলা মৎস্যজীবীদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শেখ আবু অহিদ, যুগ্ম সম্পাদক শেখ ইদ্রিস হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুর আলম বাদল, শেখ মাছুদুর রহমান, রাসেল হোসেন, শেখ রকি ইসলাম, মো. পলাশ, শেখ নজরুল ইসলাম, আছর আলী, শেখ জুয়েল হাসান, ওবায়দুর রহমানসহ বিভিন্ন থানা ও পৌরসভা মৎস্যজীবীদলের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।