নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিরপেক্ষ একজন সমন্বয়কারী নির্বাচন করতে হবে। আর ওই সমন্বয়কারী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হলে ভালো হয়। রেডক্রিসেন্ট ইউনিটসমূহের নির্বাচন বিষয়ে পরিপত্রে এমনই বলা আছে। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের নির্বাচনের জন্যে সমন্বয়কারী করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকনকে। তিনি ইউনিটের আজীবন সদস্য এবং সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। এই অনিয়ম ছাড়াও নির্বাচন অনুষ্ঠানে আরো অনেক নিয়ম কানুন লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের চেয়ারম্যান শফিকুল আলম বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। নির্বাচনের তফসিল অনুসারে সোমবার প্রার্থী মনোনয়ন বিক্রির দিন ধার্য রয়েছে।
আর মনোনয়ন দাখিল ২৮শে আগস্ট। নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ই সেপ্টেম্বর। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিট চেয়ারম্যানের দেয়া অভিযোগসূত্রে জানা যায়- বর্তমান এডহক কমিটি ৪টি সভা করলেও কোনটিতেই নির্বাচনী সমন্বয়কের বিষয়ে আলোচনা করেনি। নির্বাচনের ৩০ দিন পূর্বে তফসিল ঘোষণা করার কথা থাকলেও বর্তমান এডহক কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি এবং কতিপয় সদস্য ঠিক ১৭ দিন আগে ২০শে আগস্ট স্থানীয় দুটি সংবাদপত্রে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। নির্বাচনের ১৫ দিন আগে ও.জি এম’র (ওর্ডিনারী জেনারেল মিটিং) স্থান সম্পর্কিত চিঠি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আজীবন সদস্যদের কাছে প্রেরণ করার নিয়ম। সেটিও করা হয়নি। ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়টিও যথাযথ প্রক্রিয়ায় করা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরিপত্রে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ হাজার টাকা, সেক্রেটারি পদে ৮ হাজার টাকা এবং সদস্য পদের জন্যে ৫ হাজার টাকা জামানত দেয়ার বিধান থাকলেও এই নির্বাচনী তফশীলে ভাইস চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারি পদের জন্যে ২০ হাজার টাকা এবং সদস্য পদের জন্যে ৮ হাজার টাকা জামানত নির্ধারণ করা হয়। নির্বাচনের তারিখ এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষকের জন্যে সদর দপ্তরকে চিঠি দিতে হয়। সেটিও করা হয়নি বলে জানা যায়। নির্বাচনের এই প্রক্রিয়ার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাড়ে ৯ হাজার আজীবন সদস্য নির্বাচন সম্পর্কে অন্ধকারে এবং ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকবেন বলে উল্লেখ করা হয় অভিযোগে। এবিষয়ে রেডক্রিসেন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারির বক্তব্য জানতে তাদের মোবাইল ফোনে কল করে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- বিষয়টি দেখছেন।