অ্যান্টিগা টেস্টের তৃতীয় দিন জেসন হোল্ডারের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েন মিগুয়েল কামিন্স। তবে জুটিতে কামিন্সের রান ‘০’। এতে রেকর্ড বইয়ে নাম উঠেছে তার । ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে ১০ নম্বরে ব্যাট হাতে ৪৫ বল মোকাবিলা করেন কামিন্স। এতে ব্যাট হাতে তিনি ক্রিজে কাটান দেড় ঘণ্টা। আর কামিন্সের এমন মাটি কামড়ে পড়ে থাকা দেখে ‘স্লেজিং’ করেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ফিল্ডিংকালে কোহলি বলেন ‘খেলাটা একটু এগিয়ে নাও হে, ভারতে নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলছো।’ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে বেশি বল খেলে ‘ডাক’ মারার রেকর্ডটি এখন মিগুয়েল কামিন্সের। এতে তিনি ভেঙেছেন ১৭ বছরের পুরনো রেকর্ড।
এমন আগের রেকর্ডে ২০০২ সালে লর্ডস টেস্টে কিথ আথারটন গড়া ৪০ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে সর্বাধিক ২০ উইকেট নেন নিউজিল্যান্ডের বাঁ হাতি পেসার জিওফ অ্যালট। সে বছরই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অকল্যান্ড টেস্টে ৭৭ বল খেলে কোনো রান না করেই আউট হন এ কিউই তারকা। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বেশি বল খেলে ‘শূন্য’ রানে আউট হওয়ার রেকর্ড। কামিন্স এ তালিকায় শীর্ষ পাঁচে রয়েছেন। অ্যালটের পর রয়েছেন জিমি অ্যান্ডারসন (৫৫ বল, ২০১৪ লিডস টেস্ট), রিচার্ড এলিসন (৫২ বল, ১৯৮৪ মুম্বাই টেস্ট), পিটার সাচ (৫১ বল, ১৯৯৯ ম্যানচেস্টার টেস্ট)। ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ এ তালিকার শীর্ষ দশে রয়েছেন বাংলাদেশেরও এক ক্রিকেটার। প্রয়াত স্পিনার মানজারুল ইসলাম রানা। ২০০২ সালে কলম্বো টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪১ বল খেলে কোনো রান না করেই আউট হয়েছিলেন মানজারুল। উইকেটে সময় কাটানোর হিসাবে রেকর্ডটিও অ্যালটের। ওই ইনিংসে অ্যালট ক্রিজে কাটান ১০১ মিনিট। তালিকায় এর পরেই কামিন্সের অবস্থান (৯৫ মিনিট)। তিনে জিমি অ্যান্ডারসন (৮১ মিনিট, ২০১৪ লিডস টেস্ট)। চার নম্বর জায়গাটি যুগ্মভাবে পিটার সাচ ও মানজারুল ইসলামের। ১৯৯৯ সালে ম্যানচেস্টার টেস্টে পিটার সাচ আর ২০০২ সালে কলম্বো টেস্টে মানজারুল সমান ৭২ মিনিট ব্যাট করে ‘ডাক’ মেরেছিলেন।