চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে চাঞ্চল্যকর নববধূ মেহজাবিন সুলতানা ইতি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি স্বামী একরামুল হক রাজুকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত রাজুকে আটক শেষে চাঁদপুর সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল মান্নান সঙ্গীয় ফোর্সসহ চাঁদপুরে নিয়ে যায়। থানা পুলিশ, সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২০১৮ সালের ১৪ই এপ্রিল শাহরাস্তি পৌর শহরের ঘুঘুশাল গ্রামের আমির হোসেনের কন্যা মেহজাবিন সুলতানা ইতির বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী মেহের দক্ষিণ ইউপির মালরা গ্রামের মজুমদার বাড়ির আবদুল কুদ্দুছের মেজো ছেলে একরামুল হক রাজুর (২৭) সঙ্গে। পরে ২০১৮ সালের ২৩শে জুন সন্ধ্যায় করফুলেন্নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী মেহজাবিন সুলতানা ইতির বিয়ের ২ মাস ১৮ দিনের মাথায় তার স্বামীর বাড়িতে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ৪ দিন পর ২৭শে জুন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার ও ২৯শে জুন স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের সঙ্গে নিহতের পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাৎ করে বিষয়টি অবহিত করেন। ওই সালের ২৯শে জুন শুক্রবার রাতে নিহতের ভাই নূরে আলম বাদী হয়ে ইতির স্বামীসহ ৪ জনকে আসামি করে শাহরাস্তি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে দীর্ঘদিন গড়িয়ে গেলেও ইতির মৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত রহস্যের জট খোলেনি। পরবর্তী সময় মামলাটি সিআইডিতে তদন্তাধীন ছিল।
ওই থেকে আসামিরা দীর্ঘদিন পলাতক রয়েছে। সমপ্রতি মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামির অবস্থানের তথ্য সিআইডি সংশ্লিষ্ট মাধ্যামকে অবহিত করে। ওই হিসেবে শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলমের নির্দেশনায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. রাসেল রানা, সোলেমান সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাত ৮টায় তার নিজগ্রাম মালরা থেকে স্বামী রাজুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাকে চাঁদপুর সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল মান্নান সঙ্গীয় ফোর্সসহ আটককৃতকে চাঁদপুরে নিয়ে যায়। এদিকে ইতির অভিযুক্ত স্বামী রাজু আটকের সংবাদে ইতির পরিবার তার হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও শাস্তির দাবি জানান।