× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

গ্রামীণ ব্যাংক কর্মকর্তার ১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ, প্রতারক আটক

বাংলারজমিন

উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি
২৬ আগস্ট ২০১৯, সোমবার

সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয়ে গাইবান্ধা গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক মহিলা কর্মকর্তা রঞ্জিনা খাতুনের ১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎকারী নেত্রকোনার জহির রায়হান ওরফে ক্যাপ্টেন নাহিদকে গতকাল রোববার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের একটি দল গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানার মওদাফা থেকে ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে।
গাইবান্ধা সদর থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাদুল্যাপুর উপজেলার বারবলদিয়া গ্রামের একরামুল হকের স্ত্রী গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা রঞ্জিনা খাতুন ১৪ বছর চাকরি করার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে অবসরে যান। চাকরির সার্ভিস  বেনিফিটে প্রাপ্ত ১৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা তিনি অগ্রণী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখায় জমা রাখেন। এসময়ে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন নাহিদ নামে পরিচয়ে রঞ্জিনা খাতুনের সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা গড়ে তোলে। এ সুবাদে প্রতারক জহির রায়হান তার জমাকৃত টাকা সম্পর্কে অবগত হন। এরপর তিনি রঞ্জিনা খাতুনকে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য ব্যাংক থেকে টাকা তুলে পোস্ট অফিসে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে তা জমা রাখার পরামর্শ দেন। এব্যাপারে তিনি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন বলে রঞ্জিনাকে জানান।  ওই আলাপের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট দিনে গত ২৮শে জুলাই কথিত ক্যাপ্টেন জহির রায়হান ওরফে নাহিদ ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করার জন্য রঞ্জিনাকে পরামর্শ দেন।
তিনি একটি প্রাইভেট কারও সেদিন অগ্রণী ব্যাংকে নিয়ে  আসেন। রঞ্জিনা তার পরামর্শ অনুযায়ী ওইদিন ব্যাংক থেকে ১৬ লাখ টাকা উত্তোলন করে তার ৫ বছরের মেয়ে ঈশিতাকে নিয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে ওই প্রতারকের কথায় প্রাইভেট কারে উঠেন। এসময় প্রতারক জহির রায়হান তাকে বগুড়ার দিকে নিয়ে যান। পথিমধ্যে বগুড়ার মহাস্থানের কাছে গাড়ি খারাপ হয়েছে জানালে রঞ্জিনা তার মেয়েকে নিয়ে প্রকৃতির ডাকে পার্শ্ববর্তী এক হোটেলের টয়লেটে যান। সেখান থেকে ফিরে এসে দেখেন ক্যাপ্টেন নাহিদ পরিচয়দানকারী তার ১৬ লাখ টাকাসহ ভ্যানিটি ব্যাগ এবং ১১ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল সেটটি নিয়ে পালিয়ে গেছে। এরপর তার সাথে মোবাইল ফোন ও ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফলে বাধ্য হয়ে রঞ্জিনা খাতুন গাইবান্ধা সদর থানায় গত ১৭ই আগস্ট একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর