× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রোহিঙ্গাদের সমাবেশ /নাগরিকত্ব দিলে একসঙ্গে ফেরার ঘোষণা

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে
২৬ আগস্ট ২০১৯, সোমবার

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা রাখাইনে প্রত্যাবাসনসহ পাঁচ দফা দাবিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সমাবেশ করেছে। গতকাল রোববার সকালে কুতুপালংয়ে ক্যামপ-৪ এর এক্সটেনশনে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটসের নেতৃত্বে এ সমাবেশ হয়। রাখাইনে ভয়াবহ সহিংস ঘটনার দ্বিতীয় বছর পূর্তি উপলক্ষে রোহিঙ্গারা এ দিবস পালন করেছে। সমাবেশে লাখো রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের টালবাহনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা। তারা রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিচারসহ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত, ভিটেবাড়ি ফিরিয়ে দেয়া, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা জোরদার ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের দাবি জানান।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিব উল্লাহ, মাস্টার আবদুর রহিম, মৌলভী ছৈয়দ উল্লাহ ও রোহিঙ্গা নারী নেত্রী হামিদা বেগমসহ অনেকেই।
সমাবেশে বক্তারা ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইনে গণহত্যা, ধর্ষণসহ বর্বর নির্যাতনের নিন্দা জানান এবং জড়িত সেনাবাহিনী ও উগ্রপন্থি রাখাইনদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের দাবি জানান। এর আগে সকাল থেকে দলে দলে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও নানা স্লোগান নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। নানা রকম স্লোগানে মুখরিত ছিল পুরো রোহিঙ্গা ক্যামপ এলাকা। বিভিন্ন ক্যামপ থেকে আসা রোহিঙ্গাদের পদচারণায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয় সমাবেশস্থল।

এছাড়াও উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, টেকনাফের উনচিপ্রাংসহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যামেপ রাখাইনে সংগঠিত গণহত্যার বিচারের দাবিতে খণ্ড খণ্ড মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। ওই সমাবেশগুলোতেও নাগরিকত্ব এবং ভিটেমাটি ফিরিয়ে দিয়ে প্রত্যাবাসন করার দাবি জানান।

আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটসের সাধারণ সমপাদক ছৈয়দ উল্লাহ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছি। সমাবেশে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনসহ পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের জন্য মোনাজাত করেছি আমরা।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল মনসুর জানান, সকাল থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো শান্তিপূর্ণভাবে এ সমাবেশ করে শরণার্থী রোহিঙ্গারা। সমাবেশে প্রায় ৮ হাজার থেকে ১০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা উপস্থিত ছিলেন।
কুতুপালংয়ে ক্যামপ-৪ এর এক্সটেনশন ছাড়াও উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যামেপ নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের দাবিতে মানববন্ধন, মিছিল, মোনাজাতসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন রোহিঙ্গারা। সকাল থেকে দুপুরে পর্যন্ত এসব কর্মসূচি চলে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর