জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে অপ্রত্যাশিত ও আকস্মিকভাবে গিয়ে হাজির ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ। এভাবে তাকে দেখে বিস্মিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের বর্তমানে ভীষণ উত্তপ্ত সম্পর্ক বিদ্যমান। এ সময়ে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন সাতটি দেশের শীর্ষ নেতারা। ওই সম্মেলনের এক ফাঁকে আলোচনায় (সাইড-লাইন টক) সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য অংশ নিয়েছিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরে টুইটারে বলেছেন, তিনি এ সময়ে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা করেছেন। রোববার সন্ধ্যায় তিনি টুইট করেছেন, সামনের পথ জটিল। তবে চেষ্টা করা প্রয়োজন।
এতে তিনি আরো জানান, জার্মান ও বৃটিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি একটি যৌথ ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়েছেন। জি-৭ সম্মেলনের প্রাক্কালে শুক্রবার প্যারিসে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অন্য বিশ্ব শক্তিধর কয়েকটি দেশকে সঙ্গে নিয়ে ইরানের সঙ্গে ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি সম্পাদন করেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে সেই চুক্তিকে প্রত্যাহার করেন। ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করেন। গত বছর সেই থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক সাপে নেউলে। ওদিকে ফ্রান্স সহ পাঁচটি দেশ ওবামার করে যাওয়া চুক্তির প্রতি এখনও অবিচল। তবে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে অবরোধ আরোপ করার পর ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি বাড়িয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের উত্তেজনা চরম আকারে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উত্তেজনাকে প্রশমিত করতে এবং ওবামার ওই চুক্তিকে রক্ষা করতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রন। কিন্তু পশ্চিমাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে ইরানের।