× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইবিতে গভীর রাতে ছাত্রলীগের অস্ত্রবাজি, গুলি-ককটেল, আহত ১০

অনলাইন

ইবি প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) আগস্ট ২৬, ২০১৯, সোমবার, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। দু’দফা সংঘর্ষে ৩ রাউন্ড গুলি ও ৪টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার রাত ১২টায় শাখা ছাত্রলীগ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, রোববার রাত ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে মহড়া দেয় সাধারণ সম্পাদক রাকিব। রাত ১১টার দিকে শতাধিক কর্মী নিয়ে বঙ্গবন্ধু হল ঘুরে তারা সাদ্দাম হলে ফিরে আসেন তিনি। এ সময় রাকিব ও তার কর্মীরা বিদ্রোহী গ্রুপের কর্মী মোশাররফ হোসেন নীলের রুমে গিয়ে হুমকি দিয়ে মারধর করে।

তাৎক্ষণিক সংবাদে সাদ্দাম হলের সামনে আলমগীর হোসেন আলো ও তন্ময় সাহা টনির নেতৃত্বে বিদ্রোহী প্রুপ জড়ো হয়।
পরে সাধারণ সম্পাদকসহ কর্মীরা সেখানে এলে উভয়গ্রুপের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় রাকিব মার খেয়ে পালিয়ে গিয়ে সাদ্দাম হলে লুকিয়ে পড়ে। পরে বিদ্রোহী গ্রুপ আগস্ট মাসের সম্মানে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বঙ্গবন্ধু হলে চলে যায়।

এদিকে রাকিবের কর্মী সুমন, সাগর, রহিম ও পান্ডের নেতৃত্বে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের তিন শতাধিক কর্মী জড়ো হয়। তারা ধারালো অস্ত্র, রামদা, রড ও লাঠি-সোটা নিয়ে বঙ্গবন্ধু হলে হামলা করতে মিছিল বের করে। জিয়া মোড় থেকে শেখ রাসেল হল পার হতেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে বিদ্রোহী গ্রুপ। তারাও অস্ত্রসস্ত্রসহ ধাওয়া করলে এক নিমিষেই রাকিবের কর্মীরা পলায়ন করে। এ সময় বিদ্রোহী পক্ষ ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। একইসঙ্গে লালন শাহ ও জিয়া হলের সামনে ৪টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধু হলে ফিরে যায় তারা। এতে পুরো ক্যাম্পাসে থমথমে পরিবেশ তৈরী হয়।

রাত ১টার দিকে ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ, সহকারি প্রক্টর নাসিমুজ্জামান ঘটনাস্থলে আসেন। তারা দফায় দফায় উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিবেশ শান্ত রাখার চেষ্টা করেন।

এদিকে পুরো ঘটনায় পুলিশকে নিরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ সাদ্দাম হলের সামনে আসলেও সম্পাদকের কর্মীরা বঙ্গবন্ধু হলের দিকে মিছিল বের করলে ফিরে যায়। সংঘর্ষের ঘটনায় মানবজমিন প্রতিনিধিসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে সকালে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. আনিছুর রহমান। বর্তমানে ক্যাম্পাস স্বাভাবিক আছে বলেও জানান তিনি। তবে সকাল থেকে উভয় গ্রুপের কর্মীদের মাঝে চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। নিজেদের অবস্থান জানান দিতে যেকোন সময় তারা আবারও সংঘর্ষে জড়াতে পারে বলে উভয়পক্ষের নেতৃস্থানীয়রা নিশ্চিত করেছে।

বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা তন্ময় সাহা টনি বলেন, আমাদের কর্মীদের প্রতিনিয়তই হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। গতকালও  রোববার) আমাদের কর্মী নীলকে মারধর ও হুমকি দিয়েছে রাকিব। আমরা এর প্রতিবাদ জানালে রাকিবের সঙ্গে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। পরে তারা আমাদের হলে হামলা করতে গেলে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি।

এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমি শুধু নীলকে মিছিল-মিটিংয়ে আসতে বলেছিলাম। তাকে কোন মারধর করিনি। বিদ্রোহী পক্ষ একে কেন্দ্র করেই আমাদের ওপর চড়াও হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর