× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাংবাদিককে জাবি ভিসির হুমকি, ঢাবিসাস’র প্রতিবাদ

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৪ বছর আগে) আগস্ট ২৬, ২০১৯, সোমবার, ৪:১৫ পূর্বাহ্ন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববদ্যিালয়ের দুই সাংবাদিককে হুমকির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ঢাবিসাস)। সংগঠনটির সভাপতি রায়হানুল ইসলাম আবির ও সাধারণ সম্পাদক মাহদী আল মুহতাসিম এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান। আজ গণমাধ্যমে পাঠানো সমিতির দপ্তর সম্পাদক কবির কানন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।    

গত বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে হেনস্তা ও হুমকি  দেয়ার অভিযোগ ওঠে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভিসির কাজ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করা, সাংবাদিকদের হুমকি প্রদান করা নয়।  সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ২২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের ছাত্রলীগকে দুই কোটি টাকা বণ্টনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে তার কার্যালয়ে যান দৈনিক প্রথম আলোর জাবি প্রতিনিধি মাইদুল ইসলাম ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের শরীফুল ইসলাম সীমান্ত। ভিসি দুই ঘণ্টা অপেক্ষায় রাখার পর তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করার পর একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের দুই কোটি টাকা ছাত্রলীগের মধ্যে বণ্টনের অভিযোগ সম্পর্কে ভিসির বক্তব্য জানতে চান। এ প্রশ্ন করামাত্র তিনি সাংবাদিকদের ওপর প্রচণ্ড রেগে যান এবং এমন প্রশ্ন করার সাহস কোথায় পেল বলে উপস্থিত দুই সাংবাদিককে ধমকাতে থাকেন।
পরবর্তীতে সাংবাদিকরা সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে জানালে ভিসি তথ্যের সোর্স বলতে বলেন।
কিন্তু সাংবাদিকরা সোর্সের গোপনীয়তা রক্ষা করার স্বার্থে নাম না বলায় ভিসি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ সময় তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরকে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ছাত্র-শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের এমন আচরণ সম্পূর্ণ অনাকাঙ্খিত উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিকদের কাজই হলো কোনো অনিয়মের খবর পেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা যাচাই করা। সে হিসেবে সাংবাদিকরা ভিসির কাছে তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইতেই পারেন। তার উচিত ছিল সাংবাদিকদের তথ্য দেয়া। তথ্যটি সত্য না হলেও তিনি সাংবাদিকদের সেটা জানাতে পারতেন। কিন্তু সেটা না করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে শিষ্টাচার বহির্ভূতভাবে হুমকি দিয়েছেন। ভিসির কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করা, সাংবাদিকদের হুমকি দেয়া নয়।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা নাগরিকগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃত এবং তথ্য প্রাপ্তির অধিকার চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিশ্চয় অবগত আছেন যে, প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ এবং জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ওঠেছে, তিনি সেটা সম্পর্কে যদি জনগণকে স্পষ্ট করতেন তাহলে প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেত। কিন্তু সেটা না করে তিনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রক্টরকে নির্দেশ দিয়েছেন। এটি অনাকাঙ্খিত ও অনভিপ্রেত। এর ফলে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।

সাংবাদিকসমাজ সর্বসম্মতিক্রমে মাননীয় ভিসির এ ধরনের স্বৈরাচারী, অগণতান্ত্রিক এবং সর্বপরি শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণের জন্য অবিলম্বে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানান। অন্যথায় সকল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিতভাবে কঠোর কর্মসূচি প্রদান করা হবে বলে হুশিয়ারি প্রদান করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর