× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতে রাষ্ট্রপতি প্রধান শাসনব্যবস্থা চালুর আশঙ্কা মমতার

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) আগস্ট ২৯, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ২:৫১ পূর্বাহ্ন

ভারতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কর্মকান্ডের সমালোচনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী দিনে দেশে রাষ্ট্রপতি প্রধান শাসনব্যবস্থা চালুর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া এড়িয়ে দেশকে পাকাপাকিভাবে রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরেই মমতা তার ঘনিষ্ঠ মহলে এই আশঙ্কার কথা বলেছেন। তবে বুধবার তিনি জানিয়েছেন, এক ভোট, এক জাতি, এক দল এবং এক নেতা, এই ভাবে আমরা প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম অফ গভর্নমেন্টের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি । এদিন একাধিক জায়গায় এই বিষয়ে তার উদ্বেগের কথা বলেছেন। প্রথমে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় এই বিষয়ে মমতা বলেছেন, আমি আজ ভবিষ্যদ্বাণী করে যাচ্ছি, দেশ প্রেসিডেনশিয়াল ফর্ম অফ গভর্নমেন্টের দিকেই যাচ্ছে। এর পরে মমতা বিধানসভায় তার মত নথিভুক্ত করে বলেছেন, আমার একটা শঙ্কা হচ্ছে। সেই শঙ্কাটা আমি বিধানসভায় নথিভুক্ত করে যাচ্ছি।
এক ভোট, এক জাতি, এক দল এবং এক নেতা, এই ভাবে আমরা কি প্রেসিডেনশিয়াল ফর্ম অফ গভর্নমেন্টের দিকে যাচ্ছি? আমরা চাই, গণতন্ত্র দীর্ঘজীবী হোক। বিধানসভায় মমতা অভিযোগ করে বলেছেন, দেশের বর্তমান শাসক দল সব ধ্বংস করে কেবল একজনকেই প্রতিষ্ঠা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সব মনীষীকে অস্বীকার করছে তারা।  মমতা বলেছেন, যে মানুষটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য সবচেয়ে বেশি লড়াই করেছেন, সেই গান্ধীজিকে খুন করল যারা, যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, তারাই সব বড় বড় কথা বলছে।  ওরা কোথা থেকে লড়াই করেছে? স্বাধীনতা সংগ্রামে তো ওরা ছিলই না। মমতার এই বক্তব্যকে সমর্থন না দিলেও নীতিগতভাবে খন্ডনও করেনি কংগ্রেস এবং সিপিআইএম। কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য মমতার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, দেশ রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে কি না বলতে পারব না। তবে এই কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে সংবিধানের বিভিন্ন ধারাকে উপেক্ষা করে পরিবর্তন করার স্বৈরাচারী প্রবণতা প্রবল। সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, আমরা বহু আগেই এই শঙ্কা প্রকাশ করেছি। এটা ভাল যে, মুখ্যমন্ত্রীও এখন মুখে অন্তত সেই শঙ্কা প্রকাশ করছেন। তবে বিজেপি মমতার বক্তব্যকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা বলে অভিহিত করেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, পায়ের তলার জমি সরে গিয়েছে বুঝেই মুখ্যমন্ত্রী মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর