× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খাগড়াগড় বিস্ফোরণকান্ডে ১৯ জনের সাজা

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) আগস্ট ৩১, ২০১৯, শনিবার, ১২:০৬ অপরাহ্ন

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় শুক্রবার ১৯ জন অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবারই আদালত ১৯ জনের দোষ স্বীকার করার পর সকলকেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল। এদিন বিশেষ এনআইএ আদালতের রুদ্ধদ্বার কক্ষে (ইন ক্যামেরা) শুনানির শেষে বিচারক সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলাল দোষীদের সর্বনি¤œ সাজা ঘোষণা করেন। ১০ জনকে সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাবাস, ৬ জনকে ৮ বছরের কারাবাস এবং দুই নারী সহ তিনজনকে ৬ বছরের জন্য কারাবাসের নির্দেশের পাশাপাশি ২০ হাজার রুপি জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাবাসের রায় দিয়েছেন।  এনআইয়ের আইনজীবী অবশ্য সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাবাসের শাস্তির দাবি করেছিলেন। দোষীদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশের নাগরিক। এদের কারাবাসের মেয়াদ শেষে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক। সাজাপ্রাপ্ত চার বাংলাদেশি  হলেন শেখ রহমতুল্লা ওরফে বুরহান শেখ, সাদিক ওরফে তরিকুল ইসলাম,  লিয়াকত আলি প্রামাণিক ওরফে মহম্মদ রুবেল এবং হাবিবুর রহমান ওরফে জাহিদুল ইসলাম। অভিযুক্তদের আইনজীবী ফজলে আহমেদ জানিয়েছেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছি না।  দোষী ১৯ জনই সমাজের মূল ¯্রােতে ফিরে আসার জন্য সর্বনি¤œ সাজার আবেদন করেছিলেন।
পরিবার ও সন্তান সন্তুতির কথা উল্লেখ করে তারা সুস্থ জীবনে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই ৫ বছর সাজা খাটা হয়ে গিয়েছে। বর্তমান কারাবাসের সঙ্গেই এই সাজা চলবে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২ অক্টোবরে খাগড়াগড়ের একটি দোতলা বাড়িতে গোপনে বোমা তৈরির সময়ে আচমকাই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেই বিস্ফোরণে দুই জেএমবি জঙ্গি শাকিল গাজি ও করিম শেখ নিহত হয়েছিল।  আহত  হয়েছিল আরো একজন। ঘটনাস্থল থেকে গুলসোনা বিবি এবং আলিমা বিবি নামে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে এনআইএর তদন্তে জানা গিয়েছে যে,  জেএমবি জঙ্গীরা ভারতের তিন রাজ্যে নেটওয়ার্ক তৈরি করে জিহাদি কার্যক্রম চালাচ্ছিল। আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছিল, কিছু যুবককে সংগঠনে নিয়োগ করে তাদের জিহাদি কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করতে এবং অ¯্র ও বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল জেএমবি। সন্ত্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করা এবং সেখানে শরিয়তি শাসন চালু করাও তাদের লক্ষ্য ছিল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর