× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এনআরসির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় প্রস্তাব পাস

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯, শনিবার, ১২:১৮ অপরাহ্ন

আসামের পরে পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি করার হুমকি দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। তাই এনআরসির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় শুক্রবার একটি বেসরকারি প্রস্তাব পাস হয়েছে। ‘এ রাজ্যে কোনও ভাবেই এনআরসি চালু করা যাবে না’ দাবিতে এদিন বিধানসভায় প্রস্তাব এনেছিল সরকার পক্ষ। শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বাম দলগুলি এবং কংগ্রেস এ ব্যাপারে সমর্থন জানিয়েছে।  বিজেপি অবশ্য প্রত্যাশিতভাবেই এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। বিধানসভায় আলোচনায় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, বাংলাবিরোধী, বাঙালিবিরোধী বিজেপি। এরা রামমন্দির, রামনবমী চাপিয়ে দিচ্ছে। এর জবাব সূর্যমন্দির, জগন্নাথ মন্দির নয়। এর জবাব মানুষকে সংঘবদ্ধ করে লড়াই করা।
পরে অবশ্য মমতাও এনআরসির বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই যে একমাত্র পথ, তা স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন। মমতা শুক্রবার বিধানসভায় বলেছেন, এনআরসি এ রাজ্যে হতে দেব না। আসামে যা হয়েছে, এখানে তা সম্ভব নয়। এর জন্য আন্দোলনই একমাত্র পথ। আসুন সকলে মিলে লড়াই করি। তার পর দেখব কার কত ক্ষমতা। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এনআরসি-র বিরোধিতা করায় মমতাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আসামে গত ৩১ আগষ্ট ঘোষিত নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা থেকে ১৯ লাখের বেশি মানুষের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এদের সকলেই বাংলাভাষী মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমবঙ্গেও প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে একসময় ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষের মধ্যে। তবে এদিন বিধানসভায় বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, বামরা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলা থেকে লোক এনে ভোট করায় বলে আপনিই সাংসদ থাকাকালীন সংসদে মুলতবি প্রস্তাব এনেছিলেন। আপনিই ১৯৯৩ সালে বলেছিলেন ‘নো আইডেন্টিটি নো ভোট’। তা হলে এখন দ্বিমত হচ্ছে কেন? এর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলেছেন, ‘নো আইডেন্টিটি নো ভোট-এ লাভ হয়েছে কি হয়নি?  তাতে কি কাউকে তাড়িয়ে দিতে হয়েছে? মানুষের অস্তিত্বের ঠিকানা, পরিচয় এটা। এদিন বিধানসভায় বিভিন্ন বক্তা আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পকে হিটলারের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক আলি ইমরান রামজ এদিন প্রশ্ন করেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে গিয়ে বলছেন এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাহলে শরণার্থী শিবিরে (ডিটেনশন ক্যাম্প) যে লক্ষ লক্ষ মানুষকে রাখা হচ্ছে, তাদের কোন দেশে পাঠাবেন? তারা কি সারাজীবন শরণার্থী শিবিরেই থাকবেন? বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা কত, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও তালিকা প্রকাশ করেনি কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ইমরান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর