× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাতিসংঘে কাশ্মীর নিয়ে যে কথা তুলে ধরলো পাকিস্তান

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯, মঙ্গলবার, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন

কাশ্মীরের ট্রাজেডির সময় কোনোভাবেই উদাসীন থাকতে পারে না  বিশ্ব। মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক পরিষদে কাশ্মীর পরিস্থিতি তুলে ধরে এমন মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। তিনি বলেছেন, এই ট্রাজেডি  বিশ্ববাসীর চোখের সামনে ঘটছে। জেনেভাতে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৪২তম অধিবেশনে বক্তব্য রাখছিলেন কুরেশি। তিনি বলেন, আমি আজ মানবাধিকার পরিষদের দরজায় কড়া নাড়ছি। এই পরিষদ হলো মানবাধিকারের বিবেক। তাই এখানে ন্যায়বিচার চাই। ভারত দখলীকৃত জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের জন্য সম্মান দাবি করি।
এই পরিষদকে  বিশ্বমঞ্চে বিব্রত হতে দিতে পারি না আমরা। এই পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে পাকিস্তান মনে করে, এইসব অপরাধ বন্ধে নৈতিকভাবে দায়বদ্ধ এই পরিষদ। তিনি আরো মন্তব্য করেন, এই দায় পালন করতে এই পরিষদকে কাশ্মীরে সংঘটিত ট্রাজেডির বিষয়ে উদাসীন থাকা উচিত হবে না। রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সংকীর্ণতা যেন আমাদের চিন্তা চেতনাকে এক্ষেত্রে আক্রান্ত না করে। আমাদেরকে অবশ্যই সন্দেহাতীত কর্মকা-ের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত করতে হবে।

শাহ মেহমুদ কুরেশি মানবাধিকার পরিষদের প্রতি যেসব পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করেছেন তা এরকম:
অবিলম্বে ছররা গুলি ছোড়া বন্দুকের ব্যবহার বন্ধ করতে, রক্তপাত বন্ধ করতে, কারফিউ প্রত্যাহার করতে, দমনপীড়ন বন্ধ করতে, যোগাযোগ বিচ্ছিন রাখা বন্ধ করতে, স্বাধীনতার মৌলিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানাতে হবে। মুক্তি দিতে হবে রাজনৈতিক বন্দিদের। মানবাধিকারের পক্ষের কর্মীদের টার্গেট করা বন্ধ করতে হবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুল্যুশন, বিভিন্ন মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিষ্ঠান- আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে মেনে চলতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানাতে হবে।

কমিশন অব ইনকোয়ারির অধীনে কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে যে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে তার জন্য যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনতে ব্যবস্থা নিতে হবে। এমনটা সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের অফিস।

দখলীকৃত কাশ্মীরে ভারত যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তা মনিটর করতে এবং এ বিষয়ে রিপোর্ট করতে হাই কমিশনারের অফিস ও হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের স্পেশাল প্রসিডিউরকে কর্তৃত্ব দিন। তাদেরকে পরিস্থিতি সম্পর্কে কাউন্সিলে নিয়মিত জানাতে বলা হোক।

মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে দখলীকৃত কাশ্মীরে প্রবেশের অনুমোদন দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানানো হোক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর