ভারত

এনআরসির উদ্দেশ্য আসাম থেকে বাংলাভাষী তাড়ানো

কলকাতা প্রতিনিধি

২০১৯-০৯-১২

দেড় হাজার কোটি রুপির বেশি খরচ করে ত্রুটিপূর্ণ নাগরিকপঞ্জি তৈরির পিছনে কারা রয়েছে, তা খুঁজে বের করার জন্য সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে সারা আসাম বাঙালি যুব ছাত্র ফেডারেশন। বুধবার দিল্লিতে এক আলোচনাচক্রে সংগঠনের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ফের পরিকল্পিতভাবে বাংলাভাষীদের আসাম থেকে তাড়ানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ফেডারেশন জানিয়েছে, আসামে এনআরসির তালিকা থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন মানুষের মধ্যে বাংলাভাষী হিন্দুর সংখ্যা ১০ থেকে ১২ লাখ। তারা জানিয়েছে, বাংলাভাষী মুসলমান বাদ পড়েছে দেড় দু’লাখ। এছাড়া গোর্খা এবং স্থানীয় আদিবাসী সমাজের মানুষের নামও তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। ফেডারেশনের সভাপতি উৎপল সরকার অভিযোগ করেছেন, অতীতে অস্ত্র দেখিয়ে আসাম থেকে বাংলাভাষীদের তাড়ানো হয়েছিল। এবার কাগজে-কলমে নাম না তুলে ফের তাদেরকে ভিটে থেকে উৎখাত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। উৎপলবাবুদের দাবি, কোনও পরিবারের বাবা-মায়ের নাম থাকলেও, ছেলের নাম এনআরসিতে নেই। বাবা-মা ভারতীয় হলেও বলা হয়েছে, ছেলে বিদেশি। বড় ভাইয়ের নাম রয়েছে। ছোট ভাইয়ের নেই। কেন এমনটা হলো? এর উত্তরে কোনও যুক্তি নেই। উৎপলবাবুর কথায়, জনগণের টাকায় বাংলাভাষী তাড়ানোর পিছনে কারা রয়েছে তা সিবিআইয়ের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হোক। আসামের কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেবের অভিযোগ, বিজেপি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। নাগরিকত্ব বিলে ১৯৭১ সালের পরে যারা ভারতে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা রয়েছে। তার আগে যারা এসেছেন, তারা ওই সুযোগ পাবেন না। তিনি আরও বলেছেন, এনআরসিতে বাদ পড়া বাংলাভাষীদের একটি বড় অংশ হলফনামা দিয়ে জানিয়ে রেখেছেন যে, তারা ১৯৭১ সালের আগে ভারতে এসেছেন। ফলে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত রয়েই গেল। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের রাজনীতি করছে বিজেপি।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status