রংপুর সদর-৩ আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পুত্র সাদ এরশাদ ও ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ একে অপরের মুখোমুখি। সাদ এরশাদ দলের মনোনয়ন পেয়ে লাঙ্গল প্রতীকের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ায় তাকে প্রতিহত করতে মাঠে কোমর বেঁধে নেমেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ। তিনি কোনোক্রমে ছাড় দেবেন না বলে মন্তব্য করে বলেন, সাদ যদি এরশাদের পুত্র হতো, তাহলে আমার কোনো আপত্তি থাকতো না। কিন্তু সে তার পুত্র নয়। এমনকি তিনি ডিএনএ টেস্ট দাবি জানান। ইতিপূর্বে তার সমর্থক বাহিনীরা সাদ এরশাদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে। এদিকে কেন্দ্রীয়ভাবে সাদ এরশাদের মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর রওশনপন্থি সমর্থকরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে মাঠে সরব রয়েছেন। ওদিকে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির মনোনয়ন না পাওয়ায় জিএম কাদেরপন্থি সমর্থকরা রয়েছেন নীরব।
রংপুর সিটি করপোরেশন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা মানবজমিনে দেয়া এক বক্তব্যে বলেন, কেন্দ্র থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় নেতারাই তার পক্ষে কাজ করে তাকে জিতিয়ে নিয়ে যাক।
যাকে ইতিপূর্বে রংপুরে দেখা যায়নি তাকে রংপুরবাসী মেনে নেবে এটা হতে পারে না। তাই আমরা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন থেকে দূরে। আসিফ বলেন, দল কোনো বহিরাগতকে মনোনয়ন দিলো সেটা আমার দেখার বিষয় না। আমার নেতাকর্মীরা চেয়েছে আমি নির্বাচন করি, তাই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। রংপুরের মানুষ আমাকে ভালোবেসে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবে। জাতীয় পার্টি থেকে সাদ এরশাদকে মনোনয়ন দিলেও রংপুরের মানুষ এখন পর্যন্ত সাদের স্বাদ বোঝেনি। নির্বাচনের পর বুঝবে সাদ টক, ঝাল নাকি মিষ্টি। আমার ওয়ার্ড কমিটির ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা কখনো জাতীয় পার্টির বহিরাগত মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দেবে না। কোনোভাবে ছাড় দেয়া হবে না সাদকে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাদ এরশাদ বলেন, বাবার আসনে এমপি নির্বাচিত হয়ে তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে চাই। আশাকরি রংপুরের সর্বস্তরের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে কাজ করবেন। কোনো ষড়যন্ত্র আমার চলার পথ রোধ করতে পারবে না। রংপুরবাসী ষড়যন্ত্রকারীদের ভোটের মাধ্যমে সমুচিত জবাব দেবে। উল্লেখ্য, রংপুর-৩ সদর আসনের উপনির্বাচনে রয়েছেন, রিটা রহমান (বিএনপি), কাজী মো. শহীদুল্লাহ (গণফ্রন্ট), মো. তৌহিদুর রহমান মণ্ডল (খেলাফতে মজলিস), মো. একরামুল হক (বাংলাদেশ কংগ্রেস), শফিউল আলম (এনপিপি) নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।