সন্ত্রাসী হামলার হুমকিতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর শঙ্কায়। বুধবার সন্ধ্যায় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘জাতীয় দলের পাকিস্তান সফর সামনে রেখে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আবারো শ্রীলঙ্কান সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। টেলিকমিউনিকেশন ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে পাঠানো এক সতর্কবার্তা পাওয়ার পর এসএলসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ ২০০৯ সালে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। তবে পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট হয়ে সম্প্রতি দেশটিতে আবার ক্রিকেট খেলতে রাজি হয় শ্রীলঙ্কা। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার কথা তাদের। ২৭শে সেপ্টেম্বর হবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। যদিও এই সফরে যেতে রাজি নন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা-দিমুথ করুণারত্নেসহ ১০ সিনিয়র ক্রিকেটার। তাদের ছাড়াই গত মঙ্গলবার বিকালে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড।
দিমুথ করুণারত্নের জায়গায় ওয়ানডে অধিনায়ক বানানো হয় লাহিরু থিরিমান্নেকে। আর দানুশ শানাকাকে ঘোষণা করা হয় টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে আসে উদ্বেগজনক খবর। এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘পাকিস্তান সফরের সময় শ্রীলঙ্কান দলের ওপর সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস।’ তাতেই পাকিস্তান সফর নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হলো। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পিসিবি অবশ্য বলেছে, আমরা শ্রীলঙ্কান বোর্ডের বিবৃতি দেখেছি। তবে তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি সংক্রান্ত কোনো তথ্য সম্পর্কে অবগত নই। আমরা শ্রীলঙ্কাকে পুরোপুরি নিরাপত্তা দেবার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যেমনটি আগেই বলা হয়েছিল।
মালিঙ্গাদের সিদ্ধান্তে হতাশ শোয়েব আখতার
পাকিস্তানে খেলতে যাচ্ছেন না শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা, ওয়ানডে অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে, অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকওয়েলা, টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান কুসাল পেরেরা, স্পিন অলরাউন্ডার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, অফস্পিনার আকিলা ধনাঞ্জয়া, ডানহাতি পেসার সুরাঙ্গা লাকমল ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান দিনেশ চান্ডিমাল। ১০ সিনিয়র ক্রিকেটার পাকিস্তান সফর বয়কট করায় হতাশ শোয়েব আখতার। টুইটারে শোয়েব লেখেন, ১০ শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারের পাকিস্তান সফর থেকে সরে দাঁড়ানো খুবই হতাশাজনক ব্যাপার। পাকিস্তান সব সময়ই লঙ্কান ক্রিকেটকে সহযোগিতা করে এসেছে। সম্প্রতি ইস্টার সানডেতে শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক দল হিসেবে আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দল সেখানে গিয়ে খেলেছিল।