তুরস্ক এবং বার্সেলোনা মিডফিল্ডার আরদা তুরানকে ৩২ মাসের স্থগিত কারাদণ্ড দিয়েছেন তুরস্কের একটি আদালত। প্রকাশ্যে বন্দুকচালনা, ইচ্ছাকৃত আঘাত ও নিজের কাছে বেআইনি অস্ত্র রাখার অপরাধে তুরানের বিরুদ্ধে এ রায় দিলেন আদালত। তবে এখনই জেলে যেতে হচ্ছে না আরদা তুরানকে। শর্তসাপেক্ষে আদালত জানিয়েছেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে তুরান ফের কোনও অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তবেই তাকে হাজতবাস করতে হবে।
আরদা তুরান বর্তমানে বার্সেলোনা থেকে ধারে (লোন) খেলছেন তুরস্কের ক্লাব ইস্তাম্বুল বাসাকসেহিরে। গত বছর ইস্তাম্বুলের একটি নাইটক্লাবে পপস্টার বার্কে শাহিনের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন আরদা তুরান। শেষ পর্যন্ত এক ঘুষিতে বার্কে শাহিনের নাক ভেঙে দেন ৩২ বছর বয়সী তুরান। এখানেই শেষ নয়। ঘটনাক্রমে হাসপাতালে পৌঁছে প্রকাশ্যে বন্দুক চালিয়ে বসেন তুরস্কের জাতীয় দলের এই স্ট্রাইকার।
ওই ঘটনায় বাসাকসেহির ক্লাব তুরানকে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ডলার জরিমানা করে। আদালতে তুরানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলে প্রাথমিকভাবে কৌশলিরা তার ১২ বছরের কারাদণ্ড দাবি করেন। একইসঙ্গে পপস্টার শাহিনের স্ত্রীকে তুরান যৌন নিগ্রহ করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। যদিও ওই মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন তুরান। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে সমস্ত ঘটনার দায় স্বীকার করে তুরান তার পরিবার ও ক্লাবের কাছেও ক্ষমা চেয়ে নেন। ২০১৫ সালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে ৩৪ মিলিয়ন ইউরোর ট্রান্সফারে বার্সেলোনায় যোগ দেন আরদা তুরান। বার্সার জার্সি গায়ে ৫৫ ম্যাচে ১৫ গোল করার পাশাপাশি ৪টি ট্রফিও জেতেন তুরস্কের এই ফুটবলার। এরপর ২০১৭-১৮ মৌসুমে বার্সেলোনা থেকে লোনে তুর্কি ক্লাবে যোগ দেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ১০০ ম্যাচে তুরানের নামের পাশে রয়েছে ১৭ গোল।