ক্রিকেট বোর্ডের ওপর সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে আইসিসির ইভেন্টগুলোতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা পোহাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। দ্বিপক্ষীয় ও ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলায় কোনো বাধা না থাকলেও আইসিসি তাদের কোনো খরচ বহন করবে না। এসবের ভেতেরই বাংলাদেশে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এসেছে জিম্বাবুয়ে। তবে সংকটপূর্ণ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাওয়া জিম্বাবুয়েকে মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছেন না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ রাসেল ক্রেগ ডমিঙ্গো। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ সামনে রেখে ডমিঙ্গো গতকাল বলেন, ‘যে দল প্রায়ই প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয় তারা সম্মিলিতভাবে দারুণ কিছু পারফরম্যান্স করতে পারে। এই প্রতিকূলতা একটা দলকে হয় ধ্বংস করে করে দেয় নতুবা সংঘবদ্ধ করে। তারা (জিম্বাবুয়ে) আফ্রিকার একটা অংশ থেকে এসেছে। আর আমি এসেছি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে।
আমার কোনো সন্দেহ নেই জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট এখন যে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেটি তাদের সামনে এগিয়ে যেতে ঐক্যবদ্ধ করবে।’
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান তেমন ভালো নয়। জিম্বাবুয়ের বিদায়ী অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা তো এরই মধ্যে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বলেছেন, তারা ম্যাচটি জিততে চান। আর বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও বাংলাদেশকে ফেভারিট ভাবছেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটা ম্যাচ জয়ের জন্য খেলবো। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে কোনো দিন যে কোনো দল যে কাউকেই হারাতে পারে। আমি আগামীকালের (আজ) ম্যাচ নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। তবে আমি যেটা বলতে পারি, আমরা নিজেদের সেরাটাই দেবো।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে একমাত্র টেস্টে আফগানিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। সেই আফগানিস্তানও আছে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে কোনো পেসার ছাড়াই খেলতে নামে বাংলাদেশ দল। আর গতকাল আর দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ফরমেট। সামনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কাজেই কিছু ফাস্ট বোলার খেলানো প্রয়োজন। আমি মনে করি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
ডমিঙ্গোর কথায় স্পষ্ট টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি দলের পেসারদের পরখ করবেন। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর। এর আগে বাংলাদেশের কোনো ওয়ানডে ম্যাচ নেই বললেই চলে। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কারণে সাদা পোশাকে বেশ কিছু ম্যাচ খেলবেন সাকিবরা। ডমিঙ্গোর বিশেষ নজর এখন টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। তিনি বলেন, ‘সামনের কয়েকটা মাস আমাদের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে নজর দেয়া প্রয়োজন। যেহেতু দুই ফরম্যাট মিলিয়ে অনেকগুলো ম্যাচ। কাজেই আমরা চেষ্টা করবো উন্নতি করার।’