শ্রীনগরে আপন ভাসুরের সঙ্গে এক স্কুলশিক্ষিকার অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে ভাসুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন। গত বুধবার রাতে তিনি শ্রীনগর থানায় মামলাটি করেন। এর আগে ভাইরালের বিষয়টি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উত্থাপিত হলে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। এর পর থেকে ওই শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। শিক্ষিকার বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলছেন, তাকে ১৫ দিনের বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস বলছেন, ছুটি সংক্রান্ত বিষয়টি তিনি জানেন না।
শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) হেলালউদ্দিন জানান, শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করে গতকাল তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়ার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার প্রবাসী স্বামীর বড় ভাই জাকিরের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ এলাকার বিভিন্ন লোকের মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পরে। ভিডিওটি ভাইরালের পর পরই তাদের নিয়ে সামাজিকভাবে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। স্থানীয়রা ওই শিক্ষিকা ও তার ভাসুরের বিচার দাবি করেন।
ঘটনাটি নিয়ে উপজেলা জুড়ে আলোচনা শুরু হলে ওই শিক্ষিকা তার ভাসুরের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় মামলা করেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষিকা সহ অন্য শিক্ষকরা বলেন, একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে বিষয়টি নিয়ে তারা বিব্রত।
ওই শিক্ষিকার আরেক ভাসুর মো. রিপন জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা পারিবারিকভাবে সালিশে বসে ছিলেন। পরিবারের মান সম্মানের কথা চিন্তা করে তারা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। হাঁসাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোলায়মান খান বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। শিক্ষিকা যেহেতু সরকারি চাকরি করেন সেহেতু তার দপ্তরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।
শ্রীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, শিক্ষিকা ভাইরাল হওয়া ভিডিও’র বিষয়ে স্বীকার করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।