× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কাউন্সিল নিয়ে সিদ্ধান্ত শুক্রবার

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৪ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন

ছাত্রদলের কাউন্সিলের আগামী ১৪ই সেপ্টেম্বর হবে কিনা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে শুক্রবার। বৃহস্পতিবার রাত এগারোটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমান উল্লাহ’র দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিতাদেশ সম্পূর্ণরুপে অযৌক্তিক। কারণ ছাত্রদলের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমান উল্লাহ আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ অনুষ্ঠিতব্য কাউন্সিলে প্রতিযোগী ছিলেন না এবং প্রতিযোগিতার জন্য আবেদন করেননি কিংবা তিনি কাউন্সিলরও নন। সুতরাং কোন বিচার বিশ্লেষণ ও যুক্তিতর্ক ছাড়া তার করা মামলার প্রেক্ষিতে ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিতের আদেশ দেয়া গভীর চক্রান্তমূলক। সরকারের কারসাজিতেই এহেন আদেশ প্রদান করা হয়েছে।

রিজভী বলেন, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলরদের মধ্যে যে উৎসাহ ও স্বত:স্ফুর্ততার স্ফুরণ সৃষ্টি হয়েছিল সেটিকে বানচাল করার জন্যই এই আদেশ সরকারের মাষ্টারপ্ল্যানের অংশ।
আমরা বারবার গণবিরোধী ভোটারবিহীন সরকারের গণতন্ত্র হত্যা কার্যক্রমের বিষয়ে জনগণকে অবহিত করেছি। আওয়ামী সরকারের হাত ধরেই এদেশে বারবার গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করা হয়েছে। দেশ থেকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেশান্তরিত করা হয়েছে।
এক ভয়ংকর একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের হিংস্র থাবায় রাষ্ট্র সমাজ থেকে গণতন্ত্রের শেষ নিশানাটুকু মুছে ফেলা হয়েছে। গণতন্ত্রের অবধারিত শর্ত মত ও চিন্তার স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণরুপে হরণ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এই মধ্যরাতের নির্বাচনের সরকার কোন প্রতিষ্ঠানেরই গণতান্ত্রিক চর্চাকে সহ্য করতে পারছে না। এরই বর্ধিত প্রকাশ ঘটলো ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কাউন্সিলের ওপর আদালতকে দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে। সুষ্ঠু, সুন্দর ও গণতান্ত্রিক পন্থায় ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচন নস্যাৎ করতেই সরকারের নির্দেশে এই আদেশ। এটি আওয়ামী সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির আরেকটি অধ্যায় হয়ে থাকবে। এবার রাখঢাক করে নয়, বরং প্রকাশ্যেই আওয়ামী সরকার আদালতকে দিয়ে তাদের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির চরিত্রটি আবারও উন্মোচিত করলো। এরা যে গণতন্ত্রের শত্রুপক্ষ সেটি এই ঘটনায় আবারও প্রমানিত হলো। সরকার আদালতকে দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিল বন্ধ করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আজিজুল বারী হেলাল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল প্রমূখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর