× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আশা পূরণে ছেলেশিশু কিনে পুলিশের হাতে ধরা

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার

তিন কন্যার বাবা দিদার। আশা ছিল অন্তত একটি পুত্র সন্তান হবে তার। কিন্তু হয়নি। শেষ পর্যন্ত আশা পূরণে ১ লাখ টাকায় আট মাসের ছেলেশিশু কিনে পুলিশের হাতে ধরা খেলেন তিনি।
কারণ, শিশুটিকে চুরি করে এনে তার কাছে বিক্রি করছিলেন আমিনুল হক মানিক নামে একজন। আর শুক্রবার শিশুটিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে উদ্ধার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। সেই সঙ্গে দিদারুল আলম (৫৫) ও রেহেনা পারভীন (৪০) নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানায়, আট মাসের শিশু আব্দুল্লাহ হোসেন সাইমনের বাবা ওমর ফারুক পেশায় সিএনজি অটোরিকশা চালক।
তাদের বাসা চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানার বেপারী পাড়ায় মোরশেদ কলোনিতে। গত ৯ই সেপ্টেম্বর সকাল   সাড়ে ১১টার দিকে তার প্রতিবেশী আমানুল হক মানিক নামে এক প্রতিবেশী রাজমিস্ত্রি ওমর ফারুকের বাসায় যায়। এ সময় ফারুকের ছেলে সাইমন কান্নাকাটি করছিল। কান্না থামাতে মানিক সাইমনকে বাইরে ঘুরতে নিয়ে যেতে চায়।
ছেলের কান্না থামানোর জন্য ওমর ফারুক সায়ও দেয়। ফারুকের স্ত্রীর হাত থেকে মানিক শিশু সায়মনকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। ঘুরতে যাওয়ার পর প্রায় ৩ ঘণ্টা পার হওয়ার পর সাইমনকে ফিরিয়ে আনা না হলে ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে মানিকের ফোন নম্বর বন্ধ পায় ফারুক। অনেক চেষ্টার পর ছেলের খোঁজ না পেয়ে ফারুক গত ১১ই সেপ্টেম্বর চান্দগাঁও থানায় মামলা করে।

মামলার পর পুলিশ ফটিকছড়ি উপজেলায় রাতভর অভিযান চালিয়ে রেহেনা পারভীন (৪০) ও দিদারুল আলম (৫৫) নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার ও শিশুটিকে উদ্ধার করে।

চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুর রহিম জানান, মানিকের দূর সমপর্কের আত্মীয় রেহানা। রেহানার দূর সমপর্কের আত্মীয় দিদার। তিন মেয়ের বাবা দিদারের শখ ছিল একটি পুত্র সন্তানের। সে বিষয়টি রেহানাকে জানিয়েছিল। রেহানার পরামর্শে মানিক শিশু সায়মনকে কৌশলে নিয়ে তার কাছে তুলে দেয়। রেহানা দেয় দিদারকে। ১ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। দিদার প্রথম দফায় ১০ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকি টাকা শুক্রবার দেওয়ার কথা ছিল।
পরিদর্শক আবদুর রহিম জানান, দিদার ও রেহানাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মানিক এখনও পলাতক রয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক শিশু সাইমনকে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেন। অন্যদিকে সাইমনকে উদ্ধারে নেতৃত্ব দেওয়া চান্দগাঁও থানার এসআই কাউসার হামিদসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের অর্থ পুরস্কার দেয়া হয়েছে সিএমপির উত্তর বিভাগের পক্ষ থেকে।
এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বিজয় বসাক বলেন, এই পুরস্কার পুলিশ সদস্যদের আরও ভালো কাজ করতে উৎসাহ ও উদ্দীপনা জোগাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর