× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নবীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, নবীগঞ্জ থেকে
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার
অভিযুক্ত শাহ সোহান আহমেদ মুসা

নবীগঞ্জের পৌর এলাকার সালামতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহ সোহান আহমেদ মুসার নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল পুলিশের এসআই ফিরোজ বাদী হয়ে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার প্রধান আসামি মুসাকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালেও তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। শহরের পৌর এলাকার সালামতপুর গ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী মুসা ওই গ্রামের খুরশেদ মিয়ার পুত্র। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা, জমি দখল, মাদক বিক্রি ও মাদকাসক্তির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসী হামলায় থানার ওসি (তদন্ত) এসআই ও পুলিশের দুই কনস্টেবল আহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্যাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ। ওদিকে, সন্ত্রাসী মুসাকে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সিএনজি (অটোরিকশা) শ্রমিকবৃন্দ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহান আহমদ মুসার বিরুদ্ধে উদীয়মান ছাত্রলীগ নেতা হেভেনকে প্রকাশ্যে উপজেলা শহরের নতুন বাজার মোড়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও সৎভাইকে হত্যাসহ একাধিক আলোচিত ঘটনায় বেপরোয়া হয়ে উঠে মুসা। গত বছর পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে সে আটক হয়। দীর্ঘদিন কারাবাসের পর সম্প্রতি সে মুুক্তি লাভ করে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের সালামতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জনৈক সিএনজি (অটোরিকশা) চালককে মারধরের ঘটনায় শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে থানার ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার, এসআই ফখরুজ্জামানের নেতৃত্ব পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের প্রস্তুতি নেয়ার একপর্যায়ে মুসার নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলা হয়। এতে পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তাসহ দুই কনস্টেবল আহত হয়। খবর পেয়ে থানার ওসি ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালালেও তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। গুরুতর আহত ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমারকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল প্রেরণ করা হয়। ঘটনার  সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মুসার মা নেহার বেগম (৫০) বোন মৌসুমী বেগম (৩৪) শাম্মি বেগম (৩০) এবং তাম্মি বেগমকে (২৬) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ খবর নিশ্চিত করেন থানার ওসি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর