দেশের ফুটবলের মূল পাইপলাইন পাইওনিয়ার ফুটবল। অথচ নানা জটিলতায় এই লীগ নিয়মিত নয়। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)-এর বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নেয়ার সাড়ে তিন বছরে মাত্র একবার মাঠে গড়িয়েছে এই লীগ। তবে নির্বাচনের বছরে আবারো লীগ আয়োজনের তোড়জোড় শুরু করেছে দেশের ফুটবল সংস্থাটি। ৭১টি দল নিয়ে এবারের অনূর্ধ্ব-১৫ পাইওনিয়ার ফুটবল লীগ মাঠে গড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাফুফে। সে লক্ষ্যে ১লা সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে খেলোয়াড় যাচাই বাছাই কার্যক্রম।
এই লীগ খেলতে শত শত কিশোর ফুটবলাররা আসছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। ডা. আতিকুজ্জামান, দুই কোচ দীপক চন্দ্র নাথ ও মাহমুদ হোসেন সুজন এবং সদস্যসচিব বাবুরাম স্টেডিয়ামের একটি রুমে ফুটবলারদের বয়স যাচাই করছেন।
মূলত পেট, বুক ও হাতের বোগলের পশম এবং দাঁত দেখেই বয়স নির্ধারণ করছেন ডা. আতিকুজ্জামান। এছাড়া জন্ম নিবন্ধনপত্রে ১লা সেপ্টেম্বর ২০০৪ সালের আগে জন্ম নেয়ারা বাদ পড়ছেন যাচাই বাছাইয়ের শুরুতেই। তবে ১লা সেপ্টেম্বর ২০০৪ সালের পরে জন্ম নিয়েও কেউ কেউ বাদ পড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ঐক্য বাংলা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোমিন বলেন, ‘গত ক’দিনে আমি ১০ জন কিশোরকে দাঁড় করালেও টেকেনি কেউই। এর মধ্যে একজনের নাম সিনহানুর শান্ত (টোকেন ৪৯০০)। ২০০৪ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর তার জন্ম। অথচ জন্ম নিবন্ধনে বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও বাদ দেয়া হয়েছে তাকে। আর মাত্র তিন দিন সময় বাকি। এখন কিভাবে দল গঠন করবো, বুঝতে পারছি না। হয়তো খেলাই হবে না।’ তিনি যোগ করেন, ‘যাত্রাবাড়ি, ধানমন্ডিসহ বেশ ক’টি জায়গা থেকে ফুটবলার এনেছিলাম। কিশোর ফুটবলারদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ সামনেই জেএসসি পরীক্ষা। পড়ালেখায় ব্যস্ত সবাই। তাই কিশোররা আসতে চাইছে না।’
একই অভিযোগ সিলেট থেকে আসা নাসির ফুটবল একাডেমির কর্ণধার মো. নাসিরেরও। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ১৮ জন কিশোর নিয়ে এসেছি। এর মধ্যে টিকেছে মাত্র দু’জন। ইতিমধ্যে আট হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে আমার। কি করবো তাই ভাবছি।’ যাচাই বাছাইয়ের সময় রোববার শেষ হবে। মাত্র দু’দিনের মধ্যে কি সব ক্লাব দল গড়তে পারবে? বিষয়টি আঁচ করতে পারলেও বয়সের ক্ষেত্রে অনড় যাচাই বাছাই কমিটর সদস্য সচিব বাবুরাম। এ নিয়ে বাবুরাম বলেন, ‘আমরা বয়সের ক্ষেত্রে কোন ছাড় দিচ্ছি না। এ ব্যাপারে কোনো আপোস নেই।’ তবে সূত্রে জানা গেছে, তিন থেকে চারদিন বাড়ানো হতে পারে পাইওনিয়ার লীগে খেলোয়াড় যাচাই বাছাইয়ের সময়।