× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাজেট ও লোকবল সংকটে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শারীরিক শিক্ষা বিভাগ

এক্সক্লুসিভ

কুবি প্রতিনিধি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার

 ২০১০ সালে একজন সহকারী পরিচালক নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৩ বছর পার হয়ে গেলেও একজন সহকারী পরিচালক ও একজন পিয়ন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কার্যক্রম চলছে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে দায়সারাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলাধুলা চালানো হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। এদিকে গেল বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চ্যাম্প ১৯’ প্রতিযোগিতায় একটি মাত্র ইভেন্টে অংশগ্রহণ ছাড়া বাজেটের অভাবে বাকি প্রায় ২৩ ইভেন্টের একটিওতে অংশগ্রহণ করেনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ।
শারীরিক শিক্ষা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ সালে শারীরিক শিক্ষা বিভাগে বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল মাত্র ৫ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন খেলার আয়োজন করতে চলে যায় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ফলে বাজেট স্বল্পতার কারণে ‘বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া সংস্থা’ কোনো ইভেন্টে বা দল পাঠায়নি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ২০১৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চ্যাম্প-১৯’ এ ভলিবল টিম অংশ গ্রহণ করলেও আর কোনো দল বা ইভেন্ট পাঠানো হয়নি। যেখানে প্রতি বছর ‘বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্বদ্যালয় ক্রীড়া সংস্থা ১৩টি ইভেন্ট ও ‘আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চ্যাম্প’ ১০টি ইলেন্ট আয়োজন করে থাকে।
২০১৯-২০ সালের জন্য ১৪ লাখ টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খেলাধুলার জন্য ছয় লাখ টাকা ও ক্রীড়া সামগ্রী ক্রয় করার জন্য এক লাখ টাকা বাজেট দেয়। এই বাজেট নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও হতাশা বিরাজ করছে। ‘বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া সংস্থা’ আয়োজিত হকি টুর্নামেন্টে ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’ পরপর দু্‌্‌্‌্‌ইবার ব্রোঞ্জ পদকের সাফল্য অর্জন করে হকি দল। ২০১৯ সালের প্রতিযোগিতার জন্য খেলোয়াড়রা দেড় মাস প্র্যাক্টিস করার পরও বাজেটের অভাবে দল পাঠায়নি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। হকি না গিয়ে ফুটবল দল পাঠানো হবে বলে আশ্বাস দিলেও সেটাও যাওয়া হয়নি বাজেটের অভাবে। যার ফলে বাজেট বেশি না থাকায় পাঠানো হয় ভলিবল দল। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়ে  ক্যারম ও দাবাতে সাফল্য থাকলেও  সেই ইভেন্টগুলো ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে বাজেট ও সদিচ্ছা না থাকার কারণে। যেখানে ক্যারমে চারবার অংশগ্রহণ করে সোনা, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জসহ তিনটি পদক অর্জন করে। দাবার অবস্থানও সম্মানজনক অবস্থায় ছিল। হতাশা ব্যক্ত করে হকি দলের অন্তত দুই-তিনজন খেলোয়াড় বলেন, দেড় মাস প্র্যাক্টিস করার পর বলা হয় ‘আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় গেমসে’ হকি দল যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচিত করার জন্য এই হকি ভরসা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি হকি দল না পাঠায় অচীরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে হকির ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে যাবে বলে জানান তারা।         
প্রতি বছর ২৬শে মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার স্বাধীনতা দিবস পালন ও জমকালোভাবে খেলাধুলার নানা ইভেন্ট আয়োজন করে। গেল তিন বছর চার-পাঁচটি ইভেন্ট দিয়ে দায়সারাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলার আয়োজন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এত উন্নয়নের ও আশ্বাসের কথা শুনি এই খেলাধুলায় এত কম বাজেট কিভাবে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচিত করার জন্য খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খেলাধুলার পুরস্কার নিম্নমানের দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন এই শিক্ষার্থী। ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. শামিমুল ইসলাম বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী ফুটবল, ক্রিকেট, হ্যান্ডবল ও ভলিবল আয়োজন করে যাবো। মাঠের পাশে কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের প্রস্তাবনা দিয়েছি, অতিশিগগিরই এটা পেয়ে যাবো’। ২৬শে মার্চের খেলাধুলায় ইভেন্ট বাড়ানোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কমিটি করে আয়োজন করে থাকে বলে জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, শারীরিক শিক্ষা বিভাগে লোকবল নিয়োগ দেয়া হবে ও আগামী বছরে খেলাধুলার জন্য বাজেট বাড়ানো হবে।


অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর