× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কমছে না পিয়াজ রসুন ও আদার দাম

দেশ বিদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার

তেমন উত্তাপ নেই কাঁচাবাজারে। দু-একটি বাদে প্রায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। তবে দাম কমার কোন লক্ষণ নেই সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পিয়াজ-রসুন ও আদার। ব্যবসায়ীরাও বলছেন, খুব শিগগিরই দাম কমার সম্ভাবনা নেই এ তিনটি পণ্যের। রাজধানীর কাওরান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজারে আদা-রসুনের দাম বেড়েছে ঈদুল ফিতরের আগে। এরমধ্যে আর কমতে দেখা যায়নি। আর গত এক মাস থেকে বেড়েছে পিয়াজের দাম। খুব শিগগিরই পিয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী আলম বলেন, ভারতে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় বেড়েছে পিয়াজের দাম।
তাই আমাদেরকেও বেশি দামে পিয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরে নতুন পিয়াজ উঠার আগে খুব একটা দাম কমার সম্ভাবনা নেই। এদিকে, আদা-রসুনের ক্ষেত্রেও সেই একই অবস্থা বিরাজ করছে। চীন ও ভারত থেকে আমাদের দেশের বেশিরভাগ আদা-রসুন আমদানি করা হয়। এ বছর চীনে আদা-রসুনের উৎপাদন অনেক কম হয়েছে। তাছাড়া দেশের চাহিদার তুলনায় আমাদের দেশে এই দুটি পণ্য খুবই কম উৎপাদন হয়। আদা-রসুনের দামের নিয়ে শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী রনি বলেন, কিছুদিন আগেই চীনে আদা-রসুনের উৎপাদনের মৌসুম শেষ হয়েছে। তারপরও আদা-রসুনের দাম কমেনি বরং বেড়েছে। তাই দেশের রসুন না ওঠা পর্যন্ত দাম কমার তেমন সম্ভাবনা নেই বলে তিনি জানান।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশী পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি। আর ভারতীয় পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি। এদিকে, বাজারে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। আর আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি।

বাজারে আসা ক্রেতা তারিক বলেন, যেটার দাম বাড়ে সেটার আর কমার কোন খবর থাকে না। সেই যে আদা-রসুনের দাম বাড়লো এখন পর্যন্ত কমার কোন লক্ষণ নেই। আবার নতুন করে বেড়েছে পিয়াজের দাম। এদিকে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে টমেটো সিম আর গাজর বাদে প্রায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। বাজারে পাকা টমেটো, বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি। শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। শিমের পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও মুলাও। আগের সপ্তাহের মতো ছোট আকারের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা পিস। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। এছাড়া বেগুন, বরবটি ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে, প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আর গত সপ্তাহের মতই ঢেঁড়স, শসা, ঝিঙ্গে, ধুন্দুল, কচুর লতি ও কচুর মুখি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। আর পটল ও কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ও পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি। তবে কিছুটা দাম কমে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। আর আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। এছাড়া তেমন কোনো পরিবর্তন হযনি চাল, ডাল, আটাসহ অন্যান্য পণ্যে। এদিকে, বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ বাড়ায় কমেছে অন্যান্য মাছের দামও। বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা কেজি। আর একটু ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়। বাজারে রুই, মৃগেল, কাতল ও সিলভার কার্প মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। আর কই, পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। পাকিস্তানি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। একই দামে বিক্রি হচ্ছে লাল লেয়ার মুরগি। আর ডিমের ডজন গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। গরুর মাংস বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর