× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নিঃসঙ্গ একটি ব্রিজ

অনলাইন

তোফায়েল হোসেন জাকির, সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) থেকে
(৪ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯, শনিবার, ২:৫৫ পূর্বাহ্ন

নিঃসঙ্গ একটি ব্রিজ। নাম বুজরুক-পাকুরিয়া ব্রিজ। ঠাঁই দাঁড়িয়েছে আছে ফাঁকা মাঠে। একেবারে জনমানবহীন এলাকা অনেকটা। নেই পথচারিদের আনাগোনা। প্রায় ১৫ বছর আগে জনস্বার্থে নির্মাণ করা হয়েছিলো এটি। কিন্তু সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় অব্যবহৃত পড়ে আছে। মানুষজন এখন পূর্বের হাঁটা পথটিও হারিয়ে ফেলেছেন।
ব্রিজটির অবস্থান গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায়।

উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নে বুজরুক-পাকুরিয়ার গ্রামের সাদুল্লাপুর-ঠুটিয়াপকুর পাকা সড়ক ঘেঁষে স্থানীয় বেলাল হোসেনের বাড়ি থেকে এছাহাক আলীর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। যুগ যুগ ধরে এ রাস্তা দিয়েই এলাকার মানুষ চলাচল করতেন।

একপর্যায়ে রাস্তার আশপাশের কৃষি জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য রাস্তার মাঝে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। প্রায় ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করে ‘এসডিএফ’ নামে একটি সংস্থা। ব্রিজটি নির্মাণের ১৫ বছর পার হলেও সংযোগ সড়কের মাটি ভরাট করা হয়নি এখনও।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণেই রাস্তাটির মাটি ভরাট করা হচ্ছে না। ফলে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। তারা প্রায় ১ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করেন তারা।

স্থানীয় মোকছেদুর রহমান ও সেরাজুল ইসলাম বলেন, ব্রিজটির সংযোগ রাস্তায় মাটি ভরাট না করায় এ পথে চলাচল করতে পারছি না। এলাকার শত শত মানুষকে বিকল্প সড়ক ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে আমরা দুর্ভোগে পড়েছি। রাস্তাটিতে মাটি ভরাট করা হলে মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে। দুর্ভোগ লাঘবে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবি জানিয়েও কোন লাভ হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এসডিএফ-এর তৎকালীন গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কমিটির সহ-সভাপতি আদেব আলী বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের পর মাটি ভরাটের জন্য কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম চৌধুরী শামীম বলেন, ওই রাস্তার  ব্রিজটি অনেক উঁচু করে নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজ নির্মাণের আগ থেকেই রাস্তাটি দিয়ে মানুষজনের চলাচল ছিল না। পাশের পাকা সড়ক দিয়েই চলাচল করেন এলাকাবাসী। ফলে এখানে রাস্তার কোন প্রয়োজনই হয় না। সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নবী নেওয়াজ জানান, বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর