× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নারায়ণগঞ্জে জাপা নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, রবিবার

নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টির নেতা জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে সমিতির নামে কেনা একটি জমি জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। সংবাদ সম্মেলন থেকে এই সমস্যার সমাধান না হলে ট্রাক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলবেন অথবা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবেন বলে ঘোষণা দেন। জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতা বা অপরের জমি দখল করার অভিযোগ এটিই প্রথম নয়। এ ধরনের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে অহরহ রয়েছে। জয়নাল আবেদীন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল কাদিরের বেয়াই। গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিউদ্দিন প্রধান।
উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি মতিউল্লাহ মিন্টু, কার্যকরী সভাপতি তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ, সহ-সভাপতি লতিফ মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ২০০১ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাক মালিক সমিতির নামে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোডের জেলা কারাগারের পশ্চিম পাশে সাড়ে ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়। ক্রয় করার পর থেকে সমিতির নামে ওই জমির নামজারি করে খাজনাসহ বিভিন্ন কর প্রদান করা হচ্ছিল। ২০০৬ সালে ভূমিদস্যু জয়নাল আবেদীন জমির এক ওয়ারিশের কাছ থেকে আমমুক্তারনামা (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) বলে ওই জমি নিজের বলে দাবি করে আদালতে একে একে ৪টি মামলা দায়ের করেন। এরপর আদালত কমিশন গঠন করে জমির প্রকৃত মালিকানার বিষয়ে তদন্ত করলে কমিশন জমিটির মালিক জেলা ট্রাক মালিক সমিতি এই মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর মামলা চলমান অবস্থায় জয়নাল নিজেই ওই জমির ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করান। কিন্তু গত মঙ্গলবার জয়নাল নিজেই আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নালিশি জমিতে ঘর তুলতে শুরু করেন। খবর পেয়ে জেলা ট্রাক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং বিষয়টি ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করলে সে কাজ বন্ধ করে দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, জেলা ট্রাক মালিক সমিতির পূর্বের নেতৃবৃন্দ যখন জমিটি ক্রয় করে তখন সেটি ডোবা ছিল। পরে সমিতির পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেটি ভরাট করা হয়। এই জমির পাশে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েলেরও একটি জমি রয়েছে। সেই জমিও ভূমিদস্যু জয়নাল জোর করে দখলের চেষ্টা করলে অ্যাডভোকেট জুয়েল মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়ে সে আবারো একই চেষ্টা করে। এখন সে ট্রাক মালিক সমিতির নামে কেনা জমি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। জমিটি দখলে সে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়োগ করেছে। যে কারণে ট্রাক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ জমির কাছে যেতে পারেন না সন্ত্রাসীদের ভয়ে। বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে আরো অভিযোগ করা হয়, নগরের আমলাপাড়া এলাকাতেও জয়নালের বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায় সে জমির প্রকৃত মালিকদের হাতে নাজেহাল হন।
অভিযোগের বিষয়ে জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান। আদালতই রায় দেবে জমির মালিক কে?

উল্লেখ্য, জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সদর মডেল থানায় অস্ত্র জমা দিতে গিয়ে থানার এক পুলিশ কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ রয়েছে। ওই অভিযোগ তাকে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর