× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মার্কিন সেনা অফিসার চট্টগ্রামের মেয়ে আফিয়া

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, রবিবার

শৈশব থেকেই তার স্বপ্ন ছিল কিছু করবেন। সেই স্বপ্ন পূরণের পথ পেয়েও গেছেন তিনি। মার্কিন সেনাবাহিনীতে অফিসার হিসেবে সম্প্রতি অভিষেক হয়েছে তার। তিনি হচ্ছেন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট এলাকার মেয়ে আফিয়া জাহান পম্পি। অভিষেকের পর আফিয়া জাহান পম্পি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের শৈশবের স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন। তিনি লিখেন, ‘আমেরিকা আমাদের দেশ। এ দেশকে আমি আমার কাজ দিয়ে কিছু দিতে চাই। এ প্রত্যয় আমার শৈশব থেকেই।
আর আমার যোগ্যতা কাজে লাগার সে সুযোগও করে দিয়েছে আমেরিকা।’  

আফিয়া জাহান পম্পির বাবা মেজবাহ উদ্দিন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বারইয়ার হাট পৌরসভার জামালপুর গ্রামের বাসিন্দা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে চট্টগ্রাম শহরে ব্যবসা করতেন তিনি। এ সুবাদে চট্টগ্রাম শহরেই জন্ম আফিয়ার।

চট্টগ্রাম শহরে থাকা তার এক নিকটাত্মীয় দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, ২০০০ সালে আফিয়ার বাবা মেজবাহ উদ্দিন অভিবাসী হিসেবে সপরিবারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। তখন আফিয়ার বয়স এক বা দেড় বছর। মা-বাবার সঙ্গে আমেরিকায় অভিবাসী হন আফিয়াও। সেখানেই বেড়ে উঠা তার। যা মার্কিন ধাঁচে হওয়ার কথা। কিন্তু না- বাঙালির রক্ত বলে কথা। বাবার মতো পুরো বাঙালি ধাঁচেই গড়ে উঠেন আফিয়া জাহান পম্পি। বাংলার সেই পল্লী বালিকার মতো কবি নজরুল আর রবি ঠাকুরের গান ও নাচে মজেন আফিয়া। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি যুক্ত থাকেন বাবার হাতে গড়া নিউ ইয়র্কের জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন বিপার সঙ্গে।

তিনি বলেন, আফিয়ার বাবা মেজবাহ উদ্দিন ছিলেন সংগঠন অন্তঃপ্রাণ মানুষ। মিরসরাই এসোসিয়েশন এনএর (উত্তর আমেরিকা) সভাপতি তিনি। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নানা সাংগঠনিক কার্যক্রমেও দেখা যায় তাকে। বাবার সাংগঠনিক গুণ পেয়েছেন আফিয়া জাহান নিজেও।

তিনি বলেন শৈশব থেকে নাচ, গান ও সাহিত্য চর্চায় আলাদা আগ্রহ আফিয়ার। নাচসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সাফল্যের জন্য পেয়েছেন নানা পুরস্কারও। পড়াশোনাও বাদ যায়নি। বর্তমানে ফার্মিং ডেল স্টেট কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রী আফিয়া।

মার্কিন সেনাবাহিনীতে মেয়ের অভিষেকে দারুণ খুশি মেজবাহ উদ্দিন। টাইমলাইনে জানালেন, মার্কিন সেনাবাহিনীতে অফিসার হিসেবে যোগ দিয়ে আমার মেয়ে নতুন এক স্বপ্ন-যাত্রা শুরু করেছে। এ রকম গুরুত্বপূর্ণ পদে বাংলাদেশের একটি মেয়ে কাজ করা রীতিমতো গর্বের বিষয়।
নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনের চার্চ ম্যাকডোনাল্ডে বসবাসরত আফিয়াদের পরিবারে মা নুরুচ্ছাবাহ পূর্ণিমা ছাড়াও আছেন আরো দুই সদস্য। তার দুই বোন সাদিয়া ও পৃথা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। টাইমলাইনে জানালেন আফিয়ার বাবা মেজবাহ উদ্দিন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর