বগুড়ার নন্দীগ্রামে মিষ্টি খাওয়ানোর কথা বলে এক শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে মাদ্রাসার দপ্তরি। পরে গ্রামবাসী দপ্তরি আলমগীর হোসেন বাবলুকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। গতকাল দুপুরে নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাজগ্রাম ইউনিয়নের মাজগ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃত আলমগীর হোসেন বাবলু (৪৫) মাজগ্রাম এমএ সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার দপ্তরি। গতকাল দুপুরে ওই মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী ক্লাস শেষে বাবলুর বাড়ির পাশ দিয়ে ফিরছিল। এ সময় বাবলু তার নাতির জন্ম হওয়ার খবর জানিয়ে মিষ্টি খাওয়ানোর কথা শিশুটিকে বাড়ি ডেকে নিয়ে গিয়ে মিষ্টি খেতে দেয়। বাবলুর স্ত্রী ও ছেলের বউসহ সবাই হাসপাতালে থাকায় বাড়ি ফাঁকা ছিল। এই সুযোগে বাবলু শিশুটিকে ধর্ষণ করে বাড়িতেই আটকে রাখে।
দুপুরের পর শিশুটির চিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন বাড়িতে শিশুটিকে উদ্ধার করে। পরে ধর্ষণের ঘটনা শুনে বাবলুকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে বাবলুকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। নন্দীগ্রামের কুমিড়া পণ্ডিতপুকুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আজিজুর রহমান বলেন, গণধোলাইয়ের শিকার বাবলুকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তার নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে।