ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ ওয়েন থি গোক ভ্যান বলেছেন, বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন পরিবেশের সুরক্ষার ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। মন্ট্রিল প্রোটোকল স্বাক্ষরের পর বাংলাদেশের ওয়ালটনই ‘বিশ্বের প্রথম এইচএফসি ফেজ আউট’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যাতে ইউএনডিপি এবং বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর সহায়তা দিচ্ছে। এ প্রকল্প সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের চমৎকার এক উদাহরণ, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক। শনিবার ওয়ালটন অফিসে ১৬ই সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব ওজোন দিবস’ উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড যৌথভাবে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
‘মন্ট্রিল প্রটোকল, ওজোনস্তর সুরক্ষার ৩২ বছর’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা জানান, পৃথিবীর প্রাণ ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ওজোনস্তর। ওজোনস্তরের ক্ষয়রোধ এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে পরিবেশবান্ধব এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার জরুরি।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন একই মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. একেএম রফিক আহমেদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম। ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিমের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এসএম মঞ্জুরুল হান্নান খান, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ড. নুরুল কাদির, বিএসটিআই‘র মহাপরিচালক মুয়াজ্জেম হোসাইন ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ ওয়েন থি গোক ভ্যান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম মঞ্জুরুল আলম, ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক রাইসা সিগমা হিমা।
উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, ওয়ালটন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো কাঁচামাল ব্যবহার করে না। তারা ওজোনস্তর সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি জানান, ওজোনস্তর সুরক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ৫টি প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে। যার মধ্যে ৩টি প্রকল্পই ওয়ালটনের।
আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী বলেন, ওজোন স্তর রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর, ইউএনডিপি এবং ওয়ালটনের যৌথ উদ্যোগ সারা বিশ্বেই প্রশংসিত হয়েছে।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম বলেন, ওয়ালটন সবসময়ই পরিবেশ ও জীবের সুরক্ষার প্রতি যত্নবান। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে পরিবেশ ও জীবের সুরক্ষায় পণ্য উৎপাদন ও পুনর্ব্যবহারে ওয়ালটন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যাবে বলে জানান তিনি।