× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তবুও ইতিবাচক সাকিব

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ সবশেষ জয় দেখেছিল ২০১৪ সালে। আর গত পাঁচ বছরে আফগানদের বিপক্ষে টাইগাররা দেখলো টানা চতুর্থ হার। রোববার মিরপুরে ১৬৪ রান তাড়া করে ২৫ রানে হার দেখে বাংলাদেশ। যদিও টাইগারদের ম্যাচের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ইনিংসের একবারে প্রথম বলেই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহর উইকেট উপড়ে নেন টাইগার পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। আর পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে স্কোর বোর্ডে ৪০ রান জমা করতেই উধাও আফগানিস্তানের ৪ উইকেটে। কিন্তু শেষ দিকে বল হাতে খেই হারায় টাইগাররা। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল এ হার থেকে ইতিবাচক কোন দিকটা খুঁজে পাচ্ছেন যা চট্টগ্রাম পর্বে নিয়ে যাচ্ছেন তারা? উত্তরে সাকিব বলেন, ‘আমরা অনেক বেশি অতিরিক্ত রান দিয়েছি।
এই ১৫ রান (১৮) কম দিতে পারলেই, ব্যবধান কমে আসত ১০ রানে। এই ছোট ছোট দিকগুলো ঠিক রাখতে হবে।’ এদিন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহীমের ব্যর্থতায় ৮ রান বাই পেয়েছে আফগানিস্তান। বোলাররা দিয়েছেন ৬টি ওয়াইড। আর নো বলের ভোগান্তিটা আরো বড়। ইনিংসের গুরত্বপূর্ণ মুহূর্তে তাইজুলের নো বলের কারণে ‘জীবন’ পান আসগর আফগান। শেষ ১০ ওভারে আফগানরা স্কোর বোর্ডে যোগ করে ১০৬ রান। সাকিবও বোলারদের এভাবে নিয়ন্ত্রণ হারানোয় চিন্তিত। বলেন, ‘প্রথম দশ ওভারে আমরা দারুণ বল করেছি। কিন্তু শেষ ১০ ওভারে ওরা ১০৬ রান করেছে। এমন উইকেটে সেটা মানা কঠিন। যে নো বলে আসগর বেঁচে গেছে, সেটাই মোমেন্টাম বদলে দিয়েছে।’
১৪ ওভার শেষেও আফগানিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৯৩। আর ১৫তম ওভারের প্রথম বলেই আসগর বেঁচে যান তাইজুলের ‘নো’ বলের সৌজন্যে। আসগরকে হারিয়ে যেখানে আবারো চাপে পড়ার কথা, সেখানে আফগানিস্তান ওই ওভারে তুললো ১৬ রান। সাকিবের আফসোস এখানেই, ‘আমরা খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করছিলাম। নো বলটা আমাদের অনেক ভুগিয়েছে। অতিরিক্ত রান (১৮) আমাদের অনেক বেশি ভুগিয়েছে। ১৫-১৬ রান অতিরিক্ত হয়ে গেছে। ওখানেই অনেক পেছনে পড়ে গেছি। তাইজুলের যে ওভারটায় অনেক রান হলো, ওই ওভারে উইকেটটা পড়লে হয়তো ৫-৬ রান হতো, ছন্দটা আমাদের দিকেই থাকতো। অথচ সে ওভারে ১৬ রান গেছে। এসবই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। এসব জায়গায় আরো উন্নতি করা দরকার।’
বোলাররা তবু ভালো শুরু এনে দিয়েছেন। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা যে সেটাও করতে পারছেন না। সে ব্যর্থতাও মেনে নিয়েছেন সাকিব। বলেন, ‘শুরুতে আমরা দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হয়েছি।’ শেষদিকে বোলিংয়ে খারাপ করার পরও আফগানিস্তান এমন কোনো স্কোর গড়েনি যেটা টপকানো অসম্ভব। ১৬৫ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশ তাড়া করতে পারেনি বাজে ব্যাটিংয়ে। আর অধিনায়ক বলছেন, এ ক্ষেত্রে মনস্তাত্ত্বিক ও স্কিল দুটিতেই তারা পিছিয়ে। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে আফগানিস্তান আছে সাতে, বাংলাদেশ সেখানে দশে। র‌্যাঙ্কিংয়ে যতই পিছিয়ে থাকুন, সাকিব মনে করেন রোববার জয়টা তারা আফগানদের হাতে তুলে দিয়েছেন। সাকিব বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে ওরা অবশ্যই শক্তিশালী দল। তারা র‌্যাঙ্কিংয়ে সাতে, আমরা দশে। মাঝে শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে। এই দুই দলের সঙ্গে মাঝে-মাঝে জিতি, মাঝে-মাঝে হারি। আফগানিস্তান সাতে, ওদের হারাতে তাই কষ্টই হয়। এমন পরিস্থিতি দেরাদুনেও ছিল (গত বছর দেরাদুনে আফগানদের কাছে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ)। এর সঙ্গে বলতে হয় ম্যাচটা (রোববার) আমরাই ওদের দিয়ে এসেছি। একটা সময় ম্যাচটা দুহাতে লুফে নেয়ার সুযোগ ছিল আমাদের, যেটা আমরা পারিনি।’ এদিন লিটন কুমার দাসের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে ক্রিজে যান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বরাবর মিডল অর্ডারে খেলা এই ব্যাটসম্যান এর আগে একবার ওয়ানডেতে ওপেন করেছিলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সে ইনিংসে করেন ৯৮ রান। কিন্তু রোববার আফগান বাঁ-হাতি পেসার ফরিদ মালিককে দারুণ কাভার ড্রাইভে চার মারার পরের বলেই পাগলাটে স্কুপ করে বোল্ড হয়ে যান মুশফিক। মুশফিকের আউটে দলের এমন ব্যতিক্রমী চিন্তা হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ। সাকিব জানালেন সবাই মিলেই আলাপ করে এমন পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন তারা। সাকিব বলেন, ‘সবার সঙ্গে কথা বলার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বড় কারণ ছিল, আমাদের যাদের অভিজ্ঞতা বেশি, যারা ম্যাচ বেশি খেলেছি, তারা যদি ওপরে যাই যেহেতু আমাদের শুরুটা ভালো হচ্ছে না। আমরা যদি শুরুটা ভালো করে দিয়ে আসতে পারি দলের জন্য ভালো।’
আগামীকাল সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামছে টাইগাররা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে খেলা শুরু সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। সিরিজে টানা দুই জয়ে ফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত আফগানিস্তানের। অন্য দিকে টানা দুই হার নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি জিম্বাবুয়ের জন্য বাঁচা-মরার। চলতি সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ী হয় বাংলাদেশ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর