× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শুধু নিশ্চিন্তে খেলতে চান রোমান সানা

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার

ক্রিকেটে কিংবা ফুটবলে সাফল্য এলে অর্থকড়ি, সংবর্ধনা- সবই জোটে। ক্ষেত্রবিশেষে প্রধানমন্ত্রী ডেকে তাদের সংবর্ধনা দেন। কিন্তু বড় দু’টি সাফল্যের পরও এমন কিছুই জোটেনি রোমান সানার ভাগ্যে। এনিয়ে আক্ষেপ আছে রোমান সানার। তবে তিনি অর্থকড়ি, সংবর্ধনা চান না। শুধু চান নিশ্চিন্ত জীবন। যা তাকে নির্বিঘ্নে খেলে যেতে সহায়তা করবে।
১৯৮৬ সালে সিউল এশিয়ান গেমসে বক্সিংয়ে মোশাররফ হোসেনের ব্রোঞ্জ জয় ছাড়া এশীয় পর্যায়ে আর কোনো ব্যক্তিগত পদক নেই বাংলাদেশের।
রোমান সানা সেই ব্যর্থতার ইতিহাসকে বদলে দিয়েছেন। এশীয় র‌্যাঙ্কিং আরচারিতে সোনা জিতে দেশকে গর্বিত করেছেন এই আরচার। এই রোমানই কয়েক মাস আগে ইতিহাস গড়েছিলেন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে যে কোনো খেলার বিশ্ব আসরে পদক জিতে। আরচারি বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে সেমিতে উঠেই তিনি গড়েছিলেন আরেক ইতিহাস। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছেন অলিম্পিকে। এশিয়া কাপ আরচারির র‌্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টে (স্টেজ-৩) স্বর্ণজয়ী আরচার রোমান সানা গতকাল দেশে ফিরেছেন। দুপুরে হযরত শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রোমান সানার হাতে ফুলের তোড়া ও মুখে মিষ্টি দিয়ে বরণ করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। এ সময় বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং স্পন্সর মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাসহ আরচারি সংশ্লিষ্ট অনেকে উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দরে রোমান সানা বলেন, ফেডারেশনের কাছে তেমন কিছুই চাই না। তারা আমাকে ম্পন্সর জোগাড় করে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলতে পাঠাচ্ছে। তবে রাষ্ট্রের কাছে আমার প্রত্যাশা থাকতেই পারে।
এত সাফল্য, এত গৌরব যে ক্রীড়াবিদের হাত ধরে তিনি নিজেকে বঞ্চিত ভাবছেন। তিনিই জানিয়েছেন শুক্রবার এশীয় র‌্যাঙ্কিং আরচারিতে সোনা জেতার পর একটা অভিনন্দন বার্তাও তিনি পাননি। বড় কোনো প্রতিশ্রুতি তো অনেক দূরের ব্যাপার। নেদারল্যান্ডসে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতে আসার পর যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে একটা অভিনন্দন-বার্তা পেয়েছিলেন। কিন্তু ৫৫টি দেশের ২০৯ প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে পদক জিতেও তার ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। নিজের ফেডারেশন বা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় একটা পুরস্কারও তাকে দেয়নি। তবে আরচারির পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ‘তীর’ তার হাতে তুলে দিয়েছিল কিছু অর্থ পুরস্কার।  দেশকে এত গর্বিত করে, বিশ্ব দরকারে লাল-সবুজ পতাকা গর্বের সঙ্গে উড়িয়েও তাই হতাশ রোমান। বাংলাদেশ আনসারে সাধারণ একটা চাকরি করেন তিনি। অনেক কথা বলতে বলতে রোমান নিজের হতাশাটা গোপন রাখতে পারেননি। ‘আমাদের দেশে ক্রিকেটে একটা সিরিজ জিতলেই ক্রিকেটাররা বাড়ি-গাড়ি পেয়ে যান। অথচ ২০৯ জনকে পেছনে ফেলে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেও আমরা কিছু পাই না। দেশকে সাফল্য এনে দিলাম। কিছু পাওয়ার আশা তো থাকে। আমরা গাড়ি-বাড়ি চাই না। লাখ টাকা বেতনও চাই না। আমরা একটা নিশ্চিন্ত জীবনের স্বপ্ন দেখি। সেটা কি খুব বেশি কিছু?’ প্রতিবারই নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে বিমানবন্দরে রোমান সানাকে অভিনন্দন জানাতে হাজির হন ক্রীড়াপ্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল। তার এসব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চান ২৪ বছর বয়সী এই ক্রীড়াবিদ।



অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর