স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে এসেছে হংকংয়ে। রোববার পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে উত্তপ্ত ছিল পুরো অঞ্চল। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ও রাবার বুলেট ছুড়েছে পুলিশ। সরকারি দপ্তরগুলোর বাইরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে অগণিত মানুষ। অনেকে সরকারি কার্যালয় লক্ষ্য করে ছুড়েছে পেট্রোল বোমাও। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে। শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হওয়া বিক্ষোভের সমাপ্তি হয় তীব্র অস্থির পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে। উত্তেজনাপূর্ণ বিক্ষোভ শেষে সোমবার মেট্রো স্টেশন ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু হয়েছে।
এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, রোববার মুখোশ, টুপি পরিহিত সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা নিজেদের পরিচয় গোপন করে দলে দলে রাস্তায় নেমে আসে। পুলিশের সঙ্গে অনবরত চলে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। হংকংয়ের মূল বাণিজ্যিক এলাকাগুলোর রাস্তা অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। প্রায় চার মাস ধরে চলমান এই বিক্ষোভে সমপ্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, হংকং কর্তৃপক্ষের ওপর বেইজিংয়ের প্রভাব বেড়েই চলেছে।
উল্লেখ্য, চীনের অধীনস্থ হলেও বিশেষ আইনের আওতায় বেশ খানিকটা স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করে হংকং। তবে সমপ্রতি অঞ্চলটির ওপর চীনের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। চলতি বছরের শুরুর দিকে হংকং থেকে অপরাধীদের চীনের মূল ভূখণ্ডে প্রত্যর্পণ করার একটি আইন প্রণয়নের ঘোষণা দেয় হংকং কর্তৃপক্ষ। জুন মাস থেকে এই আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভে নামে লাখ লাখ হংকংবাসী। চলতি মাসের শুরুর দিকে তাদের দাবি মেনে প্রস্তাবিত আইনটি বাতিল কড়া হয়। তবে এতদিনে নতুন বেশ কয়েকটি দাবি যোগ করে বিক্ষোভকারীরা। এর মধ্যে রয়েছে পুলিশি সহিংসতা, বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশি হামলা তদন্তে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনও। আইন বাতিল করলেও ওইসব দাবি মানতে রাজি হয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলস্বরূপ জারি রয়েছে বিক্ষোভ। সোমবার বিকালেও হংকংয়ের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভকারীদের দাবি মানার আহ্বান জানায় কর্তৃপক্ষের কাছে। এখন পর্যন্ত হংকংয়ের বিক্ষোভে হামলার শিকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। বাদ পড়েননি সাংবাদিকরাও। আটক কড়া হয়েছে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে।