× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সেই রতনকে শেকলমুক্ত করলেন ইউএনও

অনলাইন

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
(৪ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯, মঙ্গলবার, ৩:৩২ পূর্বাহ্ন

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় ২৫ বছর ধরে শেকলবন্দি করে রাখা হয়েছিলো রতন মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হলে প্রশাসনের নজরে আসে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ হাসান পাকুন্দিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ওই রতন মিয়ার বাড়িতে যান। এ সময় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে বারান্দার সেই অন্ধকার কক্ষ থেকে শেকল কেটে তাকে উদ্ধার করেন।

পরে রতন মিয়াকে পাকুন্দিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। তিনি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ হাসান বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে রতন মিয়ার বিষয়টি প্রকাশিত হলে জেলা প্রশাসকের নজরে আসে। সকাল ৯টার দিকে রতন মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে সাতদিন পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এরপর তার শারীরিক অবস্থা বুঝে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। এ সংবাদ প্রকাশের জন্য স্থানীয় সংবাদকর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন বলেন, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় কর্তৃক পরিচালিত ‘রোগী কল্যাণ সমিতি’ থেকে রতন মিয়াকে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় সকল ওষুধ দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. জমির মো. হাসিবুস ছাত্তার জানান, দীর্ঘদিন শেকলবন্দি থাকায় রতন মিয়া শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তিনি রক্তশূন্যতায় ভুগছেন। তাকে শারীরিকভাবে সবল করতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, রতন মিয়াকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তার উত্তর তিনি স্বাভাবিকভাবেই দিয়েছেন। এতে মনে হচ্ছে উন্নত চিকিৎসা পেলে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।

উল্লেখ্য, রতন মিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙা ইউনিয়নের দক্ষিণ সাটিয়াদী গ্রামের মৃত আবদুল মোমেনের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। রতন মিয়া অবিবাহিত। তিনি কোনও পড়াশোনা করেন নি। বাড়িতেই কৃষিকাজ করতেন। প্রায় ৩০ বছর আগে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। প্রথমে স্থানীয় ও পরে ঢাকায় কয়েক দফা চিকিৎসা দিলেও তিনি সুস্থ হননি। পড়ে তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। বাড়ির লোকজনের সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করায় তাকে গত ২৫ বছর ধরে একটি কক্ষে  শেকলবন্দি করে রাখা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর