মৌলভীবাজারের রাজনগরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জমির দখল নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আব্দুস সত্তার (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে রাজনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পিতাসহ তিন সহোদরকে আটক করেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে মঙ্গলবার সকালে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর পাম্প হাউজ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বড় একটি পুকুর রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে দীর্ঘ দিন এই পুকুর ইজারা দেয়া হলেও গত দুই বছর থেকে ইজারা দেয়া হচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওই পুকুরের দখল নিয়ে ইসলামপুর গ্রামের একরাম উল্লাহর ছেলে আব্দুস সাত্তার (৪৫) ও একই এলাকার বরকত উল্লাহর ছেলে সায়দুল মিয়ার (৫৫) মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে মামলাও হয়েছে।
গতকাল সকালে ওই পুকুর পাড়ের জমিতে ঘাস কাটতে যান আব্দুস সাত্তার। এ সময় সায়দুল মিয়া ও তার ছেলেদের সঙ্গে বিরোধ বাধে। এ সময় সায়দুল মিয়ার ছেলেদের ফিকলের আঘাতে ঘটনাস্থলেই আব্দুস সাত্তার মারা যান।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে নিহত আব্দুস সাত্তার মিয়ার ও আশপাশের লোকজন সায়দুল মিয়ার বাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর ও মারধর করে। খবর পেয়ে রাজনগর উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিনয় ভূষণ দেব পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে স্থানীয়দের সহায়তার হত্যার সঙ্গে জড়িত সায়দুল মিয়া (৫৫) ও তার ছেলে সুহেল মিয়া (৩৫), শিপন মিয়া (২৫) ও জুয়েল আহমদ (৩২) কে আটক করে রাজনগর থানায় নিয়ে যায় এবং লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিকে রাজনগর থানা হাজতে আটক সায়দুল মিয়া বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ রয়েছে। আমরা মামলা করেছিলাম। ওই মামলায় আদালাত থেকে ৭ জনের নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। তারা নিজেদের লোককে হত্যা করে আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। আমরা হত্যা করিনি।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। স্থানীয় লোকজন আসামিদের ঘেরাও করে রেখেছিল, পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।