নীলফামারীর ডোমারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ ১০ টাকা কেজি দরের চালে নিম্নমানের চাল মেশানোর অপরাধে ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার উপজেলার ধরনীগঞ্জ হাটে ডিলার সামিউল ইসলামের চাল বিতরণ কেন্দ্রের সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বিচারক ও ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. উম্মে ফাতিমা এই জরিমানা আদায় করেন। সামিউল এবারেই প্রথম খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করছেন। তিনি ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক তহিদুর রহমান জানান, ১০ টাকা কেজি দরের চালে ভেজাল মেশানোর সংবাদ পেয়ে রোববার বিকালে ডিলার সামিউল ইসলামের চাল বিতরণ কেন্দ্রের গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। এতে ১৭ বস্তা খাবার অনুপযোগী নিম্নমানের চাল পাওয়া যায়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার গোডাউন সিলগালা করে দেন। সোমবার সামিউল তার নিজের অপরাধ স্বীকার করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। তাৎক্ষণিকভাবে সে টাকা পরিশোধ করায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ডোমার উপজেলার অধিকাংশ ডিলারেই নিম্নমানের চাল বিক্রি করেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. উম্মে ফাতিমা জরিমানা আদায় করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সামিউল ১৭ বস্তা নিম্নমানের চাল মেশানোর দোষ স্বীকার করায় ভোক্তা অধিকার আইনে তার কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। যারা এ রকম কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।