× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সৌদিতে গৃহবধূ মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাৎ /নবীগঞ্জে তোলপাড়

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়স্থ গ্রামের গৃহকর্মী আফিয়ার ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে আদালতে প্রবাসী মো. আব্দুল কাদির শামীম এবং আব্দুল কাইয়ুম সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কয়েক বছর পূর্বে আফিয়াকে সৌদির ভিসা দিয়ে সেখানে নিয়ে যান সৌদি প্রবাসী শামীম। ২০১৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন গৃহকর্মী আফিয়া বেগম। মামলা দায়ের করেন, নিহত গৃহকর্মীর সহোদর মো. আব্দুল খালিক। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১২ই নভেম্বর আসামিদের স্ব-শরীরে হাজিরের নির্দেশ দেন। এ খবর নিশ্চিত করেন, মামলার আইনজীবী এডভোকেট মো. নুরুল আমিন তালুকদার। মামলা সূত্রে প্রকাশ, প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল কাদির শামীম আফিয়ার অপঘাতে মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩৬ লাখ টাকা উত্তোলন করেন।
নিহত আফিয়ার পরিবার বাংলাদেশ থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য যাবতীয় কাগজপত্র সরবরাহ করে। ২০১৭ সালের জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন আফিয়া বেগম। বিধি মোতাবেক ক্ষমতা পেয়ে আফিয়ার ক্ষতি পূরণ বাবত ৩৬ লাখ টাকা উত্তোলন করেন আব্দুল কাদির শামীম। আফিয়ার পরিবারের নিকট ওই খবর জানিয়ে দেন শামীম সহোদর আব্দুল কাইয়ুম সেলিম। সৌদি থেকে ক্ষতি পূরণের টাকা উত্তোলন করলেও নিহত আফিয়ার পরিবারকে ওই টাকা দেয়া হয়নি। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়। ক্ষতি পূরণের টাকা নিয়ে টালবাহানার অডিও রেকর্ড সংযুক্ত করে আদালতে মামলা হয়। মামলার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হন ক্ষমতাসীন দলের বলয়ে থাকা এলাকার আলোচিত ব্যক্তি আব্দুল কাইয়ুম সেলিম। স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী মো. শাহ নওয়াজ মিলাদ সহোদর সাহেদ গাজীর দ্বারস্থ হয়েও কোন সুরাহা না পেয়ে মামলা দায়ের করেন নিহত আফিয়ার সহোদর আব্দুল খালিক। মামলায় দুই দফায় ১০ লাখ ও ২৬ লাখ টাকা উত্তোলনের পর আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত সমন জারি করেন। মামলার বাদী আব্দুল খালিক বলেন, পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা ও পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে আমার বোনকে বিদেশ পাঠাতে সম্মত হই। আব্দুল কাদির শামীম আমার বোনকে ভিসা সরবরাহ করেন। সে আমার বোন আফিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার খবর জানিয়ে ক্ষতি পূরণের টাকা উত্তোলনের জন্য বাংলাদেশ থেকে কাগজপত্র সরবরাহের কথা জানায়। তার কথা অনুযায়ী শামীম সহোদর সেলিমকে নিয়ে যাবতীয় কাগজপত্র তৈরি করে সৌদি প্রেরণ করি। আব্দুল কাইয়ুম সেলিম ক্ষতিপূরণ বাবত ৩৬ লাখ টাকা প্রাপ্তির কথা স্বীকার করলেও পরিশোধ করেনি। এনিয়ে একাধিক সালিশ বৈঠকের পর আদালতে মামলা করেছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর